কানাডায় প্রথমবারের মতো জনসংখ্যা এক বছরে ১০ লাখ বেড়েছে। সম্প্রতি দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। ১৯৫৭ সালের পর কানাডায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৭ শতাংশ চিহ্নিত করা হয়েছে।
কানাডার সরকারি সংস্থা ‘স্ট্যাটিসটিকস কানাডা‘ বলছে, দেশটির জনসংখ্যা এক বছরে ৩ কোটি ৮৫ লাখ থেকে ৩ কোটি ৯৫ লাখ গিয়ে পৌঁছেছে।
দেশটিতে অস্থায়ী বাসিন্দার সংখ্যা ৬ লাখ ৭ হাজার ৭৮২ জনে পৌঁছেছে।
শ্রমিকের ঘাটতি কমাতে ব্যাপক হারে অভিবাসী নেয়াই দেশটিতে জনসংখ্যা বাড়ার মূল কারণ মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো অভিবাসীদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন। গত বছর দেশটির সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে ৫০ হাজার অভিবাসীকে স্বাগত জানানোর পরিকল্পনা করেছেন।
এর পাশাপাশি রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণ, আফগানিস্তানে সংকটে থাকা মানুষ, তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদেরও স্বাগত জানিয়েছে কানাডার সরকার।
কানাডা সরকারের তথ্যমতে, জনসংখ্যা বৃদ্ধির এই হার অব্যাহত থাকলে, আগামী ২৬ বছরে দেশটির জনসংখ্যা দ্বিগুণে গিয়ে ঠেকবে। আর সেক্ষেত্রে আবাসন, অবকাঠামো, পরিবহন ও অন্যান্য নাগরিক সুবিধা নিরবচ্ছিন্নভাবে নিশ্চিত করা কানাডা সরকারের জন্য কঠিন হয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।
স্ট্যাটিসটিকস কানাডা আরও বলছে, অভিবাসনের কারণে জনসংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৯৬ শতাংশ এবং অভিবাসন প্রক্রিয়ার জন্য আবেদন রেকর্ড ছাড়িয়েছে।
এর আগে, ২০২২ সালে কানাডা প্রায় সাড়ে ৪ লাখ অভিবাসীকে স্বাগত জানিয়েছিল। দেশটিতে বর্তমানে অস্থায়ী বাসিন্দার সংখ্যা ৬ লাখের বেশি।
অনু/দীপ্ত সংবাদ