সর্বজনীন পেনশনের ”প্রত্যয়” স্কিমের প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে সোমবার (১ জুলাই) থেকে পুরোপুরি কর্মবিরতি শুরু করেছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
শিক্ষকরা বলছেন, তাদেরকে সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়‘ স্কিমের অন্তর্ভুক্ত করা হলে, তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ফলে এই পেশার প্রতি মেধাবীরা আগ্রহ হারাবে। শিক্ষকদের এই আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীরা সমর্থন দিচ্ছেন।
বরিবার (৩০ জুন) শিক্ষক সমিতির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে— সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক পূর্ণদিবস কর্মবিরতির কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালিত হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পিজিডি প্রোগ্রামের সকল কার্যক্রম ও ক্লাস বন্ধ থাকবে, সকল প্রকার পরীক্ষা বর্জন করা হবে, ডিন অফিস, চেয়ারম্যান অফিস, সেমিনার বন্ধ থাকবে, প্রশ্নপত্র মডারেশন, নিয়োগ ও সিলেকশন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে না, ইন্সটিটিউটের সকল কার্যক্রম– অফিস, ক্লাস, পরীক্ষা বন্ধ থাকবে, বিভিন্ন গবেষণামূলক কার্যক্রম, শিক্ষক প্রশিক্ষণ, কনফারেন্স ও ওয়ার্কশপ বন্ধ থাকবে। এছাড়াও গ্রন্থাগার অফিস ও কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির পাঠক সেবা বন্ধ থাকবে।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশন ঘোষিত কর্মসূচির সাথে সম্পূর্ণ সহমত পোষণ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি এ সর্বাত্মক পূর্ণদিবস কর্মবিরতি কর্মসূচির রূপরেখা প্রণয়ন করে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজের সম্মান ও আত্মমর্যাদা রক্ষিত হবে বলে দাবি করেছেন তারা।