কয়েক দিনের টানা ভারী বর্ষন ও উজানের প্রবল স্রোতে করতোয়া নদীর ভাঙ্গনে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট পৌর এলাকার বড়গলি নাপিতপাড়ার ৫০ থেকে ৬০ পরিবার বিলিনের পথে।
র্দীঘদিন যাবৎ করতোয়া নদীতে প্রতিবছর বন্যা হওয়ার কারনে নদীর তীরবর্তী পশ্চিম পার্শ্ব এলাকার সাধারন জনগনের জানমান ও বসতবাড়ি ব্যাপক ভাবে ক্ষতি সাধন হয়ে আসছে। গত ২/৩ বছরের করতোয়া নদীর ভাঙ্গনে ইতোমধ্যে প্রায় এক কিলোমিটার নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
স্থানীয় বাশনা দেবি বলেন, প্রতিদিনই আমাদের বসতির কোন না কোন স্থান ভেঙ্গে নদীতে বিলিন হচ্ছে। যদি করতোয়া নদীর তীরবর্তী পশ্চিম পার্শ্বের এলাকা বরাবর একটি স্থায়ী বাধ নির্মাণ করা যেত তাহলে এই বিরাট জনবসতি বন্যার ক্ষয়ক্ষতি ও আক্রমন হতে রক্ষা পেত।
একই এলাকার বিপুল চন্দ্র রায় জানান, ইতোমধ্যে এলাকাবাসীর নিরাপত্তা সহায়তার জন্য বিভিন্ন দফতরে চিঠি পাঠিয়েছি এখনো কোনো কাজ হয় নাই। শুধু আশ্বাসের বানী শুনতে হয়েছে। কাজের কোন কাজ নেই ।
পৌর আ.লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান ইউনুস আলী মণ্ডল বলেন, নদী তীরবর্তী অধিকাংশ লোকজন দরিদ্র সীমার নিচে বসবাস করে। এরই মধ্যে বেশ কিছু পরিবার নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। জানমাল বাঁচাতে শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
দিনাজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, আমি এই করতোয়া
নদীভাঙ্গনের বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। আমি তদন্ত টিম পাঠাবো এবং আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করব।
এসএ/দীপ্ত নিউজ