নিজ কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে পিতা মো. ইসমাইল হোসেন (৪২) কে গ্রেফতার ফেনীর পরশুরাম থানা পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে (৯ জানুয়ারি) মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পরশুরাম পৌর এলাকার বাউর পাথর গ্রামে। ইসমাইল বাউর পাথর গ্রামের উত্তর পাড়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে। পেশায় একটি কোম্পানির সাবডিলার।
মামলার এজহারে জানা গেছে, মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) রাত সাড়ে তিনটার দিকে ওই কিশোরীর তাঁর কক্ষে ঘুমিয়ে পড়ে। এসময় তার পিতা মো. ইসমাইল মেয়ের কক্ষে ঢুকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। চিৎকার শুনে তাঁর মা মোমেনা আক্তার মেয়ের কক্ষে গিয়ে দেখেন সে কান্নাকাটি করছে। কারণ জিজ্ঞাসা করলে ঘটনার বর্ননা দেন। এর আগেও তাঁর পিতা মো. ইসমাইল হোসেন (১১ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। ঘটনার সময় মেয়ের মা তাঁর নানার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলো।
ভোক্তভোগীর মা মোমেনা আক্তার বলেন, মেয়ে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিতে অধ্যায়নরত। তাঁর স্বামী একজন দুশ্চরিত্র ও লম্পট প্রকৃতির লোক। আমি বাড়ীতে না থাকিলে তাঁর বাবা প্রায় সময় আমার মেয়ে কে শরীরে হাত দিতো। লোক লজ্জার ভয়ে কাউকে কিছু বলে নাই। গতকাল আমি আমার কক্ষে ঘুমিয়ে পড়লে আমার স্বামী আমার মেয়ের কক্ষে ধর্ষনের উদ্দেশ্যে তাকে ঝাপটাইয়া ধরে। আমার মেয়ে তার বাবা ইসমাইলকে ধাক্কা দিয়া তাৎক্ষনিক আমার কক্ষে এসে কান্নাকাটি করতে থাকে। মেয়ের কান্নাকাটির শব্দ শুনে মেয়েকে জিজ্ঞাসা করলে গত ১১ নভেম্বর রাতে জোর পুর্বক ধর্ষণ করে বলে জানায়।
ভোক্তভোগীর মা বলেন, ওইদিন তিনি মেয়েকে বাড়ীতে রেখে বাবার বাড়িতে বেড়াতে গেলে ঘরে একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। তিনি আরো বলেন, একই ভাবে গতকালও মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে তাকে ঘরের ভিতর আটক করে বিষয়টি স্থানীয় কমিশনার খুরশিদ আলম ও সমাজপতি মীর আহাম্মদ সহ স্থানীয় লোকজনকে জানাইলে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে মারধর করে পুলিশ খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাদাত হোসেন খান বলেন, মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে ভোক্তভোগীর মা বাদী হয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছে। এ ঘটনায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভিকটিমকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মামুন / আল / দীপ্ত সংবাদ