কক্সবাজার–মহেশখালী নৌপথে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে সি–ট্রাক (ফেরি) চলাচল শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় এ রুটে পরীক্ষামূলকভাবে প্রথমবারের মতো এ সি–ট্রাক (ফেরি) চালু হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জেলার দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে যাতায়াতের নৌ–রুটে ১০ কিলোমিটার সমুদ্রপথে ফেরি চলাচলের দাবি ছিলো দীর্ঘদিনের। পরে ৫ আগস্টের পর মহেশখালীর জনগণের দাবির প্রেক্ষিতে এই সি–ট্রাক (ফেরি) চালু করেছে সরকার। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পন্টুন। এই সি–ট্রাকে কক্সবাজার শহর থেকে মহেশখালীতে একসঙ্গে ২০০–২৫০ জন যাত্রী যাওয়া–আসা করতে পারবেন।
এদিকে, সি–ট্রাক চলাচল শুরু হওয়ার খবরে দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে মানুষের মধ্যে আনন্দ–উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে।
তারা জানান, তাদের দীর্ঘদিনের আশা–আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেছে। এই সি–ট্রাকের বদৌলতে মানুষের ভোগান্তি অনেক কমে আসবে। বিশেষ করে অসুস্থ, বৃদ্ধ লোকজন ও গর্ভবতী মহিলাদের জন্য উপকার হবে।
জেলায় বিআইডব্লিউটিএ–এর পরিচালক একেএম আরিফ উদ্দিন জানান, মহেশখালীর জনগনের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে সরকার শুক্রবার থেকে কক্সবাজার মহেশখালী নৌপথে পরীক্ষামূলকভাবে সি–ট্রাক চালু করেছে। পরে অনুষ্ঠানিকভাবে চলাচল শুরু হবে।
মহেশখালী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন জানান, প্রথমবারের মতো যাত্রী নিয়ে সি–ট্রাক ভিড়েছে মহেশখালী জেটি ঘাটে। সেখানে পল্টুন স্থাপন করা হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার সকাল থেকে জেটিঘাটে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলার মহেশখালী–কুতুবদিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য আলমগীর ফরিদ, মহেশখালী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন, সাবেক পৌর মেয়র সরওয়ার আজম প্রমুখ।