সাভারের আশুলিয়া থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) চেয়ারে বসে আছেন নীল রঙের পাঞ্জাবি পরা এক ব্যক্তি। দেখে মনে হচ্ছিল তিনিই আশুলিয়া থানার নবাগত ওসি। কিন্তু পরে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, ওসির চেয়ারে বসলেও ওসি নন তিনি। তিনি আশুলিয়া থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান মাস্টার।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। থানার ভেতরে বিএনপির এই সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের এমন আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আশুলিয়া থানার কয়েকজন পুলিশ সদস্য বলেন, থানায় এখনও ওসির পোস্ট খালি। ওসির কক্ষে বর্তমান পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুদুর রহমান বসেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার কক্ষটি ফাঁকা পেয়ে ওই নেতা চেয়ারে বসে পড়েন। আমরা ছোট চাকরি করি, তাই আমাদের কিছুই বলার নাই।
চেয়ারে কে বসে আছেন, জানতে চাইলে এক পুলিশ সদস্য বলেন, ‘তিনি স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা। তিনি যে চেয়ারটিতে বসেছিলেন মূলত ওই চেয়ারটিতে ওসি পদমর্যাদার কর্মকর্তারা বসেন। এখন তিনি বসলে কী করা যাবে। আফসোস করা ছাড়া আর কিছুই করার নেই।‘
ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক সাংবাদিক স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা জিল্লুর রহমানকে প্রশ্ন করেন, ‘আপনি কি থানার নতুন ওসি? থানায় তো ওসির পোস্টটি খালি।‘
জবাবে জিল্লুর বলেন, ‘আমাকে ওসি তদন্ত বসার অনুমতি দিয়েছেন, এজন্য বসেছি।‘
এ বিষয়ে ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান মোহন বলেন, জিল্লুর রহমানের এক ভাইয়ের নামে ও তার এক কর্মীর নামে মিথ্যা মামলা হয়েছে। এ জন্য তিনি থানায় গিয়েছেন।
ওসির চেয়ারে বসার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি ওসির চেয়ারে যে বসেছেন এটা আমি জানি না। উনি একজন শিক্ষিত মানুষ। হয়তো কোনো কর্মকর্তা তাকে বসতে বলেছেন, তাই তিনি বসেছেন।
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আহম্মদ মুঈদের ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এসএ/দীপ্ত সংবাদ