দিনাজপুর পার্বতীপুরের হামিদপুর ইউনিয়নের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি এলাকায় ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপনের কারণে খনি এলাকার গ্রামগুলিতে সুপেয় পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্য সূত্রে জানা যায়, বর্তমান মাটির নিচে সুড়ঙ্গ পথে কয়লা তোলা হচ্ছে। ফলে খনি এলাকায় ওয়াটার ট্রিটমেন্ট স্থাপনের পর থেকে হামিদপুর ইউনিয়নের মৌ পুকুর, পাতিগ্রাম, পাঁচঘরিয়া, বৈদ্যনাথপুর সহ আরো কয়েকটি গ্রামে টিউবওয়েল ও সাবমারসিবল পাম্প থেকে স্বল্প মাত্রায় পানি উত্তোলন হচ্ছে। এতে সুপেয় পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এছাড়া এলাকায় বর্তমানে বাসা বাড়ি, অন্যান্য স্থাপনাগুলিতে প্রচন্ড ফাটল দেখা দিয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়. ভূ–গর্ভ থেকে কয়লা উত্তোলনের ফলে যে কম্পন সৃষ্টি হচ্ছে তাতে ঘরবাড়ি স্থাপনা গুলে ফেটে যাচ্ছে। খনি এলাকার সার্বিক উন্নয়নের জন্য সিএসআর ফান্ড হতে অর্থ বরাদ্দ দেওয়ার কথা থাকলেও নাম মাত্র বরাদ্দ দিয়ে বাকি অর্থ এলাকার বাহিরে দেওয়া হচ্ছে। খনি কর্তৃপক্ষ ক্ষতিগ্রস্থদের অনেক আশার কথা শুনিয়েছিলেন কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এলাকায় আত্মসামাজিক উন্নয়ন ঘটেনি, বেকারের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়নি। এলাকার মানুষ দেশের স্বার্থে নিজের সম্পদ দেশকে দিয়ে আজ পথে বসতে চলেছে।
বৈদ্যনাথপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেন বলেন, এলাকার যেটুকু সম্পদ বাকি রয়েছে সেগুলি খনি কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করলে মানুষগুলি কোথায় যাবে, কি হবে তাদের ভবিষ্যৎ? দীর্ঘ ২ যুগ ধরে এলাকার এই বেহাল অবস্থা।
মৌ পুকুর গ্রামের বাসিন্দা এনামুল হক জানান, এলাকার লোকজন খনি থেকে কোন সুযোগ সুবিধা পায়না, আমাদের প্রতি খনি কর্তৃপক্ষ অবিচার করছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য এলাকার ক্ষতিগ্রস্থদের অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কিন্তু কিছুই বাস্তবায়ন করেননি।
কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। ওয়াটর ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের দায়িত্বে যারা আছে তাদের সাথে কথা বলেন।
তবে ওয়াটর ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এসএ/দীপ্ত নিউজ