চলতি বছর ডেঙ্গু রােগীর সংখ্যা গত বছরের তুলনায় ৩ গুন বেশি হতে পারে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বর্ষা পরবর্তী এডিস মশার লার্ভা জরিপে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। তাই শুরুতেই স্বাস্থ্যকর্মী, মশক নিধনের উপায় নির্ধারণে গবেষণা এবং সততার সাথে সেগুলো মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
চলতি বছরের প্রথম ১০ দিনে ডেঙ্গুতে মারা গেছে ৫ জন। আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় পাঁচশো। আগামী বর্ষায় ডেঙ্গু রোগী বাড়বে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। গত বছর প্রায় পুরোটা সময়ই চোখ রাঙিয়েছে ডেঙ্গু। আক্রান্ত হয়েছে ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। এরমধ্যে মারা গেছে ১ হাজার ৭০৫ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জরিপ বলছে, ২০২২ সালে ঢাকা উত্তরে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ এবং ঢাকা দক্ষিণে ৪ দশমিক ৮ শতাংশ বাড়িতে এডিস মশার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। পরের বছরই এটি বেড়ে যায় কয়েকগুন।
এ বছর ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আগেই, দুই করপোরেশনের টেকসই পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন এবং হাসপাতালগুলােকে প্রস্তত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন কীটতত্ত্ববিদেরা।
এই কার্যক্রম শুধু রাজধানী নয়, পুরো দেশেই ছড়িয়ে দেয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
ডেঙ্গু রোগীর কারণে গতবছর হাসপাতালে শয্যা সংকট, অক্সিজেন সংকট ও দ্রুত রোগীর অবস্থা খারাপ হওয়াসহ নানাবিধ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে সরকার। এবার আগে থেকে সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সিটি করপোরেশন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের পাশাপাশি এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে সাধারণ মানুষকেও সম্পৃক্ত হতে হবে এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের।
এসএ/দীপ্ত নিউজ