শীত কাল শেষে আসছে গরম কাল। গরম কাল আসতে না আসতেই বেড়েছে তাপমাত্রা। আর সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে এয়ার কন্ডিশনার বা এসির ব্যবহার ও বেড়েছে । তবে এসি ব্যাবহারে তেমন সচেতনতা না থাকায ঘটছে এসি বিস্ফোরণের মত দুর্ঘটনা । আমরা তখন এসির দোষ দিয়ে থাকি কিন্তু দূ্র্ঘটনা ঘঠে নিজেদের ঘাফলতির কারনে। তবে একটু সাবধনতা অবলম্বন করলে এই দূ্র্ঘটনা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।
শীতকালে অনেকের বাড়িতে বা অফিসে এসি দীর্ঘদিনের জন্য বন্ধ ছিল। হঠাৎ করে রক্ষণাবেক্ষণ না করে চালানোর কারণেই বিস্ফোরণ ঘটে থাকে। তাই দুর্ঘটনা এড়াতে বছরে অন্তত তিনবার এবং বিশেষভাবে শীতকালের শেষে এসি মেইনটেনেন্স করতে হবে।
তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সালাউদ্দিন সেলিম বলেন, এসির সার্ভিসিং নিয়মিত করা হয় না। ফলে এসির পাইপলাইন এবং গ্যাস সিলিন্ডারে ব্লক তৈরি হয়। এতে গ্যাস প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হয় এবং একটা পর্যায়ে বিস্ফোরণ ঘটে। এছাড়া দু–তিন মাস এসি না চালানোর কারণে লিকুইড বাষ্প হয়ে যায়। সেই অবস্থায় এসির কার্যক্রম হলে কম্প্রেসারে বেশি চাপ পড়ে। এখান থেকে বিস্ফোরণ হতে পারে।
আসুন জেনে নেই এসি বিস্ফোরণ থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়:
১. ভালো মানের এবং সঠিক স্পেকের পাওয়ার ক্যাবল ব্যবহার করা।
২. এসির কনডেনসার নিয়মিত পরিষ্কার রাখা।
৩. কম্প্রেসারে হাই টেম্পারেচার ও হাই প্রেশার পরীক্ষা করা।
৪. এসির ভেতরের পাইপের কোথাও ব্লকেজ আছে কি না, তা পরীক্ষা করা।
৫. কম্প্রেসারে প্রয়োজনীয় রেফ্রিজারেন্ট আছে কি না, তা অভিজ্ঞ ও বিশ্বস্ত কোম্পানির টেকনিশিয়ান দিয়ে পরীক্ষা করা।
৬. কম্প্রেসারের লিমিটের চেয়ে বেশি রেফ্রিজারেন্ট চার্জ না করা।
৭. সঠিকভাবে এসির ভ্যাকুয়াম করা।
৮. কম্প্রেসারে সঠিক পদ্ধতিতে রেফ্রিজারেন্ট চার্জ করা।
৯. বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য ব্র্যান্ডের এসি, কম্প্রেসার এবং রেফ্রিজারেন্ট ব্যবহার করা।
১০. নিম্নমানের অখ্যাত বা নকল ব্র্যান্ডের এসি ও কম্প্রেসার কেনা এবং ব্যবহার থেকে বিরত থাকা।
১১. সঠিক রেটিংয়ের সার্কিট ব্রেকার ব্যবহার করা।
যূথী/দীপ্ত সংবাদ