দেশে চলমান তীব্র দাবদাহে একটু প্রশান্তির জন্য অনেকেই এসি কিনতে চাচ্ছেন এখন। এক সময়কার উচ্চবিত্তদের বিলাসিতা এসি এখন উচ্চবিত্ত–মধ্যবিত্তের প্রয়োজনীয়তায় রূপ নিয়েছে।
ভালো এসির কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা দেখে সহজেই বোঝা যায় এসির গুণগত মান। আপনি যদি এসির ক্রেতা হিসেবে নতুন হন তবে অবশ্যই বাজারে যাওয়ার আগে এসি সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নিন।
ভালো এসি কিনতে এসির যে ৭টি বৈশিষ্ট্যর প্রতি গুরুত্ব দিবেন সেগুলো হলো–
১। এসি কেনার সময় অব্যশই কোন ঘরের জন্য এসি কিনছেন সে বিষয়ে তথ্য মাথায় রাখুন। যদি ঘরের আয়তন ১০০ থেকে ১২০ বর্গ ফুটের মধ্যে হয় তবে মনে রাখবেন আপনাকে ১ টন এসি কিনতে হবে।
২। ঘর যদি এর চেয়ে বড় হয় তবে এসির টনের পরিমাণও এ হিসেবে বাড়িয়ে নেবেন। যদি এ রেশিও না মেনে এসি কিনেন তবে এসির ওপর চাপ বেশি পড়বে এবং এসি দ্রুত নষ্ট হয়ে যাবে।
৩। ঘরে জানালা না থাকলে অব্যশই স্প্লিট এসি কিনুন। কারণ যে ঘরে জানালা নেই সে ঘরে উইন্ডো এসি বসানোর সুযোগ নেই। আর যদি ঘরে জানালা থাকে তবে প্রাধান্য দিন উইন্ডো এসিতে। তবে ঘরে জানালা থাকলেও আপনি স্প্লিট এসি লাগাতে পারেন। আপনার জেনে রাখা ভালো যে, উইন্ডো এসির চেয়ে স্প্লিট এসিতে বেশি সুযোগ সুবিধা রয়েছে। আর এ কারণে এমন এসির দামও বেশি।
৪। এসি কেনার সময় অবশ্যই স্টার রেটিংয়ের কথা মাথায় রাখুন। চেষ্টা করুন ৫ স্টার রেটিংয়ের এসি কিনতে। একটু দাম বেশি হলেও ৫ স্টার রেটিংয়ের এসি কেনা লাভজনক। কারণ এ ধরনের এসিতে বিদ্যুৎ বিল অনেক কম হয়।
৫। একাধিক ফ্যান আছে এমন এসি কিনতে চেষ্টা করুন। কেনার সময় ফ্যানগুলো চালিয়ে দেখুন কোনো শব্দ হচ্ছে কি না? শব্দ হলে সে এসি কেনা থেকে বিরত থাকুন।
৬। এসির কম ব্যাসের ফিনযুক্ত কনডেন্সার দেখে কিনুন। মনে রাখবেন, কনডেন্সারের টিউবের সংখ্যা যত বেশি তত ভালো।
৭। এয়ার পিউরিফায়ার সুবিধার পাশাপাশি অ্যান্টি ব্যাকটিরিয়াল ফিল্টার সুবিধা এসিতে আছে কিনা দেখে নিন। কম্প্রেসারের গ্যারান্টি সহ এসি কেনার পর বিক্রেতার কাছ থেকে এসি কেনার রশিদ ও ওয়ারেন্টি কার্ড বুঝে নিন।
কোন ব্র্যান্ডের এসি কিনবেন?
কোন ব্র্যান্ডের এসি কিনবেন সেটা অবশ্যই আপনার বের করতে হবে। অল্প একটু গবেষণা করে নিন আপনার বাজেটের মাঝে কোন ব্র্যান্ডের এসি ভালো হবে। তারপর কিনুন। দেশি কিংবা বিদেশি যেকোনো ব্র্যান্ডই ভালো হতে পারে, যদি তার মাঝে উপরের বিষয়গুলো থাকে।
এসএ/দীপ্ত সংবাদ