দিনাজপুরের পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদের ব্যবহারিত সরকারী মোবাইল নাম্বার এবং জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মাহমুদুল হাসানের ব্যবহারিত ব্যক্তিগত মোবাইলটি ক্লোন করেছে প্রতারক চক্র।
রবিবার (২০ আগস্ট) বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে দিনাজপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল জিন্নাহ আল মামুন সংবাদটি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার (১৯ আগস্ট) সন্ধায় ঘোড়াঘাটের ভারপ্রাপ্ত ইউএনও মাহমুদুল হাসানের ব্যক্তিগত নাম্বার ক্লোন করে উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের নাজির রোকনুজ্জামান নয়ন এবং ভিপি সহকারী মোশারফ হোসেনের নাম্বারে ফোন করে প্রতারক চক্র। চক্রটি তার পরিচয়ে মোবাইল ব্যাংকিং নগদ নাম্বারে কিছু টাকা পাঠাতে বলে। পরে ভূমি কার্যালয়ের দুই কর্মচারী ইউএনও’র সরকারী নাম্বারে ফোন করে বিষয় জানায়। তখন ইউএনও বুঝতে পারেন প্রতারক চক্র তার নাম্বারটি ক্লোন করেছেন।
একই সময় দিনাজপুরের পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদের সরকারী নাম্বার ক্লোন করে ফুলবাড়ী থানার এক পুলিশ সদস্যকে ফোন করে পুলিশ সুপার পরিচয়ে বিভিন্ন তথ্য জানতে চায় প্রতারক চক্রটি। বিষয়টি সন্দেহজনক হওয়ায় ওই পুলিশ কর্মকর্তা তার থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমানকে জানায়। পরে ওসি দিনাজপুরের পুলিশ সুপারকে বিষয়টি ফোন করে জানালে, কর্মকর্তা বুঝতে পারেন তার নাম্বারটি প্রতারক চক্র ক্লোন করেছে।
ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘বিষয়টি বোঝার সাথে সাথেই আমি থানার ওসিকে বিষয়টা জানিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ কাজ করছে। প্রয়োজনে আমি থানার জিডি করবো’ ।
দিনাজপুর পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ বলেন, ‘আমাদের নাম্বার ক্লোন করে গোপনীয় তথ্য জানতে চাওয়া ও অর্থ দাবির বিষয়ে আমরা তদন্ত করছি। কারা এই প্রতারণার সাথে জড়িত তাদেরকে খুঁজে বের করতে আমরা সব ধরণের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।’
এসএ/দীপ্ত নিউজ