আগামী বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) থেকে শুরু হচ্ছে চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। মোট ১১টি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ১৯ লাখ ২৮ হাজার শিক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে।
শিক্ষাবোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রে ইতোমধ্যেই উত্তরপত্র পাঠানো হয়েছে। কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি, শিক্ষার্থীদের সিট নম্বরও বসানো হয়েছে। এছাড়া, গুজব ঠেকাতে বিশেষ মনিটরিং টিম কাজ করছে।
বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষাবোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি, প্রফেসর ড. খোন্দকার এহসানুল কবির গণমাধ্যমকে জানান, ‘আমরা প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। আমাদের মনিটরিং টিম এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী সজাগ রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের প্রস্তুতির ঘাটতি আমরা পাইনি।‘
এদিকে, গত বছরের জুলাই–আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে আহত শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ সুবিধা প্রদান করা হবে। যারা পরীক্ষার হলরুমে বসে লিখতে অক্ষম, তাদের জন্য জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে আলাদা ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রফেসর এহসানুল বলেন, ‘আন্দোলনে যারা আহত হয়েছে, তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে। যদি তারা পরীক্ষার হলে বসে পরীক্ষা দিতে অক্ষম হয়, তবে জেলা প্রশাসকরা নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের জন্য পরীক্ষা নেবেন।‘
অন্যদিকে, প্রশ্নফাঁসের গুজব রোধে বিশেষভাবে সতর্ক রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। শিক্ষাবোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গুজব ছড়ানোর কোনো সুযোগ নেই এবং তারা সকল প্রকার অপতৎপরতা রোধে সচেষ্ট থাকবে। এছাড়া, পরীক্ষার সময়কালে অর্থাৎ আগামী ১৩ মে পর্যন্ত সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।