নাবিকরা চট্টগ্রাম ফিরছেন এমভি আবদুল্লাহতেই, সময় লাগবে অন্তত এক মাস। সোমালিয়ার জলদুস্যুর জিম্মিদশা থেকে মুক্ত হওয়া বাংলাদেশী জাহাজটির ২১ নাবিক ওই জাহাজে চড়েই চট্টগ্রাম ফিরছেন বলে জানিয়েছে জাহাজ মালিক পক্ষ।
এজন্য মাসখানেক সময় লাগতে পারে। অবশ্য অপর দুই নাবিক আকাশপথেই চট্টগ্রাম ফিরে আসবেন জাহাজটি দুবাই পৌঁছার পর পরই। আগামী সোমবার এমভি আবদুল্লাহ দুবাই”র আল হারমিয়া বন্দরে পৌছে কয়লা খালাস করার কথা রয়েছে।
জিম্মিদশা থেকে ৩১ দিন পর মুক্ত হওয়া এমভি আবদুল্লাহ’র ২৩ নাবিকের সবাই জাহাজটিকে দুবাইয়ের বন্দরে রেখে আকাশপথে চট্টগ্রাম ফিরবেন– এমন গুঞ্জন ছিল মুক্তির পর থেকে। এখন জাহাজ মালিকপক্ষ স্পষ্ট করলেন ২৩জন নয়, শুঁধু দুইজনই ফিরবেন আকাশপথে। অন্য ২১জন দুবাইয়ের আল হারামিয়া বন্দরে কয়লা খালাস শেষ করে জাহাজ নিয়েই আসবেন চট্টগ্রাম বন্দরে। মালিকপক্ষের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তির শর্ত অনুযায়ী এবং দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পর নাবিকরা এমন সিদ্ধান্ত দিয়েছে বলে জানায় জাহাজ মালিকের প্রতিষ্ঠান এস আর শিপিং এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম।
জাহাজটি দুবাই’র বন্দরে পণ্য খালাস এবং নতুন করে পণ্য বোঝাই করতে কম করে হলেও ১৬ দিন সময় দরকার। আর জাহাজটির দুবাই থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে আসতে সমুদ্রযাত্রায় লাগবে আরো ১০দিন।সেই হিসেবে এমভি আবদুল্লাহ’র ২১ নাবিকের পরিবারের কাছে ফিরতে অপেক্ষা করতে হবে মাসখানেক সময়, এমন আভাস মালিক পক্ষের ।
এদিকে, জাহাজ থেকে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় প্রধান প্রকৌশলী ইন্জিনিয়ার সাইদুজ্জামান জানান, জাহাজের ইঞ্জিনসহ সবকিছু অনুকূলে রয়েছে এমভি আবদুল্লাহ বুধবার এডেন উপসাগর পার হয়ে আরব সাগরের ইয়ামেন ও ওমানের দিকে যাচ্ছে। এঅবস্থায় জ্হাজটি জলদস্যু আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিমুক্ত এলাকায় চলে গেছে বলে জানিয়েছে নাবিকরা।
রুনা / আল / দীপ্ত সংবাদ