২০২৫–২৬ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর)। সকাল ১০টায় দেশের ১৭টি কেন্দ্র ও ৪৯টি ভেন্যুতে পরীক্ষাটি অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের একটি স্বচ্ছ ব্যাগে রঙিন প্রবেশপত্র, কালো কালির স্বচ্ছ বল পয়েন্ট কলম, এইচএসএসসি/সমমান পরীক্ষার প্রবেশপত্র/রেজিস্ট্রেশন কার্ড নিয়ে সকাল ৮টা থেকে ৯টা ৩০ মিনিটের মধ্যে আবশ্যিকভাবে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে। এর বাইরে কোনো ব্যাগ, মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটরসহ যে কোনো ইলেকট্রনিক সামগ্রী, ঘড়িসহ অন্য কিছু নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে এ পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রবেশপথ বন্ধ হয়ে যাবে।
এবার লিখিত ভর্তি পরীক্ষায় ১শটি এমসিকিউ প্রশ্নের (এইচএসসি বা সমমান সিলেবাস অনুযায়ী) প্রতিটি এক নম্বর করে মোট ১শ নম্বরের বিষয়ভিত্তিক বিভাজন হলো যথাক্রমে জীববিজ্ঞান–৩০, রসায়ন–২৫, পদার্থ বিজ্ঞান–১৫, ইংরেজি–১৫, এবং সাধারণ জ্ঞান, প্রবণতা ও মানবিক গুণাবলি মূল্যায়ন–১৫। পাস মার্ক নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০ নম্বর।
পরীক্ষার সময় গত বছরের তুলনায় ১৫ মিনিট বাড়িয়ে এক ঘণ্টা ১৫ মিনিট করা হয়েছে। লিখিত ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিটি ভুল উত্তর প্রদানের জন্য শূন্য দশমিক ২৫ নম্বর কর্তন করা হবে।
২০২৫–২৬ শিক্ষাবর্ষে সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে আসন সংখ্যা ৫ হাজার ৬৪৫, এর মধ্যে এমবিবিএস ৫ হাজার ১০০ এবং বিডিএস ৫৪৫। বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে আসন সংখ্যা ৭ হাজার ৪০৬ এর মধ্যে এমবিবিএস ছয় হাজার একটি এবং বিডিএস ১ হাজার ৪০৫ টি। অর্থাৎ যার মধ্যে এমবিবিএস কোর্সে ১১ হাজার ১০১ এবং বিডিএস কোর্স ১৯৫০টি আসন।
সর্বমোট ১৩ হাজার ৫১টি আসনের জন্য এমবিবিএস এবং বিডিএস কোর্সে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য এবার মোট আবেদনকারী এক লাখ ২২ হাজার ৬৩২ জন, এর মধ্যে ৪৯ হাজার ২৮ জন আবেদনকারী ছেলে এবং ৭৩ হাজার ৬০৪ জন মেয়ে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্টদের প্রশ্নপত্র ফাঁস গুজবের বিশ্বাস না করা জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো সুযোগ নেই।