ফেনী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সহ–সভাপতি খায়রুল বাশার মজুমদার তপন বলেছেন, আমরা যারা আওয়ামী লীগ করি, আমরা সবাই নিজাম উদ্দিন হাজারী এমপির কাছে গিয়েছিলাম। আমরা বলেছিলাম, আমাদের এখানে তো কোন এমপি নেই। কিসের একজন দিয়েছেন ১৪ নাকি ১৬ দলের। তার (জাসদের সাধারণ সম্পাদক ও ফেনী–১ আসনের সাংসদ শিরীন আখতার) জ্বালায় তো আর বাঁচি না। তিনি কলও বেছি খায়, হানিও বেছি খায়, সব কিছু বেছি খায় (টিউবওয়েল বিক্রি করে খান, পানিও বিক্রি করে খান, সব কিছু বিক্রি করে খান)। আমাদের একজন ভালো লোকের দরকার।
বৃহস্পতিবার ( ৯ নভেম্বর) বিকেলে বিকালে ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার আলী আজ্জম স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে আয়োজিত বিএনপি–জামাতের সন্ত্রাস নৈরাজ্যের প্রতিবাদে শান্তি সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মুন্সিরহাট, আনন্দপুর ও দরবারপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আয়োজিত এ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক প্রটোকল অফিসার ও ফেনী–১ আসনের সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম। ফুলগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল আলিমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হারুন মজুমদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন , নাসিম চৌধুরীর সহধর্মিণী অধ্যাপক ডা. জাহান আরা আরজু, ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সহ–সভাপতি খায়রুল বশর তপন মজুমদার।
বক্তব্য রাখেন, পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন মজুমদার, ফুলগাজী উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক একরাম পাটোয়ারী ও ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন বাপ্পি।
অনুষ্ঠানে এমপি শিরীন আখতারকে নিয়ে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বিষোধাগার করার সময় আওয়ামী লীগ নেতা হারুন মজুমদার তাকে নিবৃত্ত করেন।
তপনের বক্তব্যের পর সমাবেশে আগত ব্যক্তিদের মাঝে নানা সমালোচনার ঝড় ওঠে। অনেকেই বিষয়টিকে ১৪ দলীয় জোটের কোন্দল প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে বলেও মন্তব্য করছেন।
মোরশেদ আলম/দীপ্ত নিউজ