তীরে এসে তরি ডুবলো বাংলাদেশের। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে ফিলিস্তিনের কাছে ১–০ গোলে হেরেছে স্বাগতিকরা। তাতে বিশ্বকাপের রেস থেকে কার্যত ছিটকে গেলো জামাল ভূঁইয়ারা। হাতে থাকা বাকি দুই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ও লেবাননের বিপক্ষে বড় ব্যবধান জিতলে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে টিকে থাকবে ক্যাবরেরার শিষ্যরা।
শক্তিশালী ফিলিস্তিনের সঙ্গে প্রথমার্ধ ছিল গোলশূন্য। প্রতিপক্ষের দারুণসব অ্যাটাক রুখে দিয়ে কিংস অ্যারেনায় নিজেদের শক্ত অবস্থানটা জানান দিচ্ছিলো তপু–শাকিলরা।
ম্যাচে এগিয়ে যেতে মরিয়া দুদলই সুযোগ পায় বেশ কয়েকবার। লিড নেয়ার ভালো কিছু সুযোগ হাতছাড়া করে ফাহিম–সোহেলরা। প্রথম লেগে ব্যর্থ গোলরক্ষক মিতুল মারমা, দ্বিতীয় লেগে নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টায় অনেকটাই সফল ছিলেন। তাতে নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষ হয় গোলশূন্য।
তবে লাল সবুজদের ভাগ্যে এদিন পয়েন্ট ছিল না। অতিরিক্ত সময়ে ১০ জনের দলে পরিণত হওয়া ফিলিস্তিনের জালে বল পাঠানো তো দূরের কথা, উল্টো গোল হজম করতে হয় তাদের। বদলি হিসেবে নামা দলের তৃতীয় গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবন ব্যর্থ হলে হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় স্বাগতিকদের।
ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে অভিজ্ঞ গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোকে না খেলানো মেনে নিতে পারছেন না বাফুফে সভাপতি।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বলেন, প্রতিবারই একই ঘটনা ঘটছে। পুরো সময় ভালো খেলেই শেষ মুহূর্তে গোলে খেয়ে হারতে হচ্ছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না।
বাংলাদেশ ফুটবল দলের প্রধান কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা বলেন, জিকোর চেয়ে শ্রাবণকে আমার ভালো মনে হয়েছে। ম্যাচের ডাগআউটে আমি ছিলাম। কাকে বদলি খেলাবো; সেটা আমি ভালো জানি। বাফুফে সভাপতি যাই বলুক, ম্যাচে আমার যা ভালো মনে হয়েছে সেটাই করেছি।
আই গ্রুপে ৪ ম্যাচ শেষে ১ পয়েন্ট নিয়ে সবার শেষে জামাল ভূঁইয়ারা। আগামী ৬ জুন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে মুখোমুখি হবে ক্যাবরেরার শিষ্যরা। যাদের বিপক্ষে প্রথম লেগে ৭–০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ।
হাসিব/এজে/দীপ্ত সংবাদ