এ ম্যাচ জিতলেও ইংল্যান্ডের সেমিফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা থাকত, কিন্তু এটা ইংল্যান্ড দলই বিশ্বাস করতে পারছিল না। শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে যাওয়ার পরই বলেছিল, নেট রানরেটের দিক থেকে এখন আর সেমিফাইনালের আশা না দেখাই ভালো।
ভারতের কাছে ইংল্যান্ড ১০০ রানে হেরে যাওয়ায় তাই বাংলাদেশ এখনো সেমিফাইনালের স্বপ্ন দেখতে পারছে। ইংল্যান্ড জিতলেই বাংলাদেশের সব স্বপ্ন শেষ হয়ে যেত। ইংল্যান্ড ১২৯ রানে অলআউট হওয়ায় কাগজে–কলমে, অনেক ‘যদি–কিন্তু’ মিলিয়ে সে স্বপ্ন টিকে রইল বাংলাদেশের।
তবে বাস্তবতা হলো, বিশ্বকাপে এখনো পর্যন্ত যে পারফরম্যান্স বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ডের, তাতে দুই দলেরই সেমিফাইনাল বা স্বপ্ন– এ দুই শব্দের কোনোটিই উচ্চারণ করা উচিত হবে না।
নিজেদের পরবর্তী তিন ম্যাচ তো বাংলাদেশকে জিততেই হবে পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। এর পাশাপাশি আরো অনেক সমীকরণও বাংলাদেশের পক্ষে যেতে হবে।
বাংলাদেশকে সবার প্রথমে পরের তিনটি ম্যাচেই বড় ব্যবধানে জিততে হবে। কারণ বাংলাদেশের রান রেট অনেক বাজে (-১.৩৩৮)। এমন বাজে রান রেটের কারণে দশ দলের তালিকায় বাংলাদেশ আছে নয় নম্বরে।
পরের তিন ম্যাচ জিতলে বাংলাদেশের পয়েন্ট হবে আট। ইতোমধ্যে পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে দল নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার পয়েন্ট আট করে। তাই তাদেরকে পরবর্তী সবগুলো ম্যাচই হারতে হবে।
পাশাপাশি শ্রীলংকা, নেদারল্যান্ডস ও পাকিস্তানকেও পরবর্তী অন্তত ২টি করে ম্যাচ হারতে হবে। আফগানিস্তানকে হারতে হবে ৩টি ম্যাচ। তাহলেই কেবল বাংলাদেশের সেমিফাইনালে যাওয়া সম্ভব।
মোরশেদ আলম/দীপ্ত নিউজ