ইলিশ ও পাটের এই ভরা মৌসুমে এখন এক মন পাট বিক্রি করে এক কেজি ইলিশ কেনায় মুশকিল হয়ে পড়েছে। ফলে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও পরিবারের সদস্যদের জন্য এখন আর কেন হচ্ছে না জাতীয় মাছ ইলিশ।
স্থানীয় বাজার ঘুরে দেখা গিয়েছে পাচঁ‘শ থেকে ছয়‘শ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে আট‘শ থেকে নয়‘শ টাকা কেজি। আট থেকে নয়‘শ গ্রামের ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৩ থেকে ১৪শ টাকা কেজি ও এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৬ থেকে ১৭‘শ টাকা কেজি দরে। এ দিকে পাটের বাজার ঘুরে দেখা গিয়েছে সেখানে সর্বোচ্চ ভালো মানের পাট বিক্রি হচ্ছে ১৮‘শ টাকা এবং সর্বনিম্ন বিক্রি হচ্ছে ১৪ থেকে ১৫শ টাকা মন। ফলে কোন কৃষক যদি চিন্তা করে এক কেজি সাইজের একটি ইলিশ মাছ এক মন পাট বিক্রি করে কিনবে সেটা কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে।
মাগুরা শহরের জামরুল তলায় সন্ধ্যা বাজারে মাছ কিনতে আসা পলাশ মিয়া বলেন, ১৫ দিন আগেও যে মাছ কিনেছিলাম ১৩‘শ টাকা কেজি আজ বাজারে এসে দেখি সেটা বিক্রি হচ্ছে ১৮শ থেকে দুই হাজার টাকা কেজি। বাজার মনিটরিং এর অভাবের কারণেই এমনটা হচ্ছে বলে মনে হয়। তবে আমরা চাই জাতীয় মাছ ইলিশ অন্তত মানুষ বছরে একবারের জন্য হলেও কিনে খেতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখা হোক।
মাছ কিনতে আসা অপর ক্রেতা বিল্লাল হোসেন বলেন, মাছের যে দাম আমাদের মত নিম্ন আয়ের মানুষদের ইলিশ মাছ কিনে খাওয়া সম্ভব না।
মাছ বিক্রেতা সাধন বিশ্বাস বলেন, বেশি দামে আড়ৎ থেকে মাছ কেনার ফলে বিক্রি করতে হচ্ছেও বেশি দাম। যার ফলে বিক্রি কমেছে অনেক। অনেকেই মাছ কিনতে এসে না কিনে ফিরে যাচ্ছে। তবে মাছের দাম আরো একটু কম হওয়া উচিত বলে মনে করেন এই মাছ বিক্রেতা।
মাগুরা শহরের নতুন বাজারের পাট ব্যবসায়ী দিলীপ কুমার বিশ্বাস বলেন, যে পাটগুলো একটু দুর্বল সেগুলো আমরা ১৪‘শ টাকা মন ধরে কিনছি। এছাড়া যে পাটের মান একটু ভালো বা লাল পাট সেগুলো দুই হাজার টাকা মন কেনা হচ্ছে।
মৎস্য আড়ৎদার প্রান্ত কুমার বিশ্বাস বলেন, আমাদের মাগুরার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া নদী গুলোতে ইলিশ মাছ পাওয়া যায় না বললেই চলে।
মোঃ কাশেমুর রহমান শ্রাবণ/শায়লা/দীপ্ত নিউজ