জামালপুরে দক্ষিণা বাতাসে হেঁসে হেঁসে দোল খাচ্ছে বোরো জমিতে সোনালী ধান। সেই সাথে চলছে ধান কাটা–মাড়াই উৎসব। কৃষকরা আনন্দের মধ্যেও শংকার চিহ্ন কারন হিসেবে দেখছে ধান কাটার কম মূল্যের শ্রমিকের সংকট। কৃষি কর্মকর্তারা বলছে ধান কাটতে কম মূল্যে ভূমিকা রাখছে আধুনিক যন্ত্র রিপার ও কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন।
জেলা জুড়ে মাঠে–ঘাটে এখন পাকা ধান।কম মূল্যের শ্রমিক সংকটের কারণে কৃষক সময় মতো ধান কাটতে হিমশিমে পরেছে। বাজারে এক মণ ধানের দামেও একজন শ্রমিক মিলছে না। শ্রমিক মিললেও জনপ্রতি মজুরি দিতে হচ্ছে ৮৫০ থেকে১২০০টাকা। একইসঙ্গে দিতে হচ্ছে দুই বেলা খাবার।
জেলায় বোরো জমিতে প্রতিবিঘা ধান কাটা–মাড়াইয়ের জন্য শ্রমিকদের দিচ্ছে হচ্ছে সাড়ে ৪ হাজার টাকা। বাজারে কৃষকের ধানের ন্যায্য মূল্য না থাকায় উৎপাদন খরচ ওঠানো নিয়ে শঙ্কিত চাষিরা।জামালপুরে কৃষি সম্প্রাসারন অধিদপ্তরের তথ্য মতে জেলায় ১লাখ ২৯ হাজার৩২০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়েছে। এখন পর্যন্ত ধান জমি থেকে কর্তন হয়েছে ৬২শতাংশ বাকি আছে ৩৮শতাংশ ধানি জমি।
কৃষকরা বলছে ধান চাষে জন্য সার বীজ কীটনাশক শ্রমিক মূল্য উচ্চ থাকায় এবং অতিরিক্ত তাপমাত্রা কারণে ন্যায্য মূল্য না পাওয়ার শঙ্কায় রয়েছে।
কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা বলছেন কৃষকদের ব্যয় সংকুচিত করার জন্য কৃষি অফিস নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে। সরকারিভাবে ধান ক্রয় শুরু হলে হয়ত কৃষক বেশি দাম পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
হীরা/ আল / দীপ্ত সংবাদ