দেশে ধনী–গরীবের বৈষম্য এখন পুরোপুরি স্পষ্ট। দ্রব্যমূল্যের কারণে নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা যখন চিড়েচ্যাপ্টা, তখন আরেকটি শ্রেণির অর্থ–সম্পত্তি ফুলে–ফেঁপে উঠছে। অনেকেই হচ্ছেন কোটিপতি। শুধু এক বছরেই কোটি টাকার ব্যাংক হিসাবধারী বেড়েছে প্রায় ৫ হাজার।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এই সময়ে, অনেকের জন্যই নিত্যদিনের খরচ মেটানো কঠিন। কারও কারও নুন আনতে পান্তা ফুরায়। এই অবস্থায় টাকা জমানোর প্রশ্ন একেবারেই অযৌক্তিক। কিন্তু একটি শ্রেণির ক্ষেত্রে ঘটছে এর উল্টোটা। বেড়ে চলছে তাদের আয় ও সম্পদ। ফুলেফেপে উঠছে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে দেশে কোটি টাকার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সংখ্যা পাঁচ হাজার বেড়েছে। এর মধ্যে সবশেষ তিন মাসেই বেড়েছে তিন হাজার। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, ২০২২ সালের জুনে কোটি টাকার হিসাব ছিল এক লাখ ৮ হাজার ৪৫৭টি। ২০২৩ সালের জুনে তা দাঁড়ায় এক লাখ ১৩ হাজার ৫৫৪–তে।
এই অবস্থাকে অস্বাভাবিক বলে মনে করেন কোনো কোনো অর্থনীতিবিদ। তারা বলছেন, স্বল্প সময়ে বিপুলসংখ্যক কোটিপতি বৃদ্ধির ঘটনা, সামষ্টিক অর্থনীতির জন্য কল্যাণকর নয়।
টাকার প্রবাহ বিশেষ শ্রেণিমুখী হলে, আয়–বৈষম্য বাড়তে থাকবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
আল / দীপ্ত সংবাদ