প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একুশ আমাদের মাথা নত না করতে শিখিয়েছে, কাজেই মাথা উঁচু করেই বাঙালি জাতিকে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ‘একুশে পদক–২০২৪’ প্রদানকালে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একুশ আমাদের শিখিয়েছে মাথা নত না করতে। কাজেই আমরা মাথা নত করে নয়, মাথা উঁচু করেই চলবো এবং বিশ্ব দরবারে মর্যাদা নিয়ে এগিয়ে যাব।
তিনি বলেন, জাতির পিতা আমাদের শুধু স্বাধীনতাই দিয়ে যাননি, তিনি সেই সঙ্গে আমাদের একটা মর্যাদাবোধ দিয়ে গেছেন। বিজয়ী জাতি হিসেবে সারা বিশ্বে আমরা মাথা উঁচু করেই চলতে চাই। এ কথাটা সবাইকে মনে রাখতে হবে। তিনি এ সময় ১৯৭২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি প্রথম প্রহরে জাতির পিতা যখন শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন; সে সময় প্রদত্ত ভাষণের চুম্বকাংশ উদ্ধৃত করেন।
জাতির পিতা বলেছিলেন, ১৯৫২ সালের আন্দোলন কেবলমাত্র ভাষা আন্দোলনের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। এই আন্দোলন ছিল সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা আমাদের যে মর্যাদা দিয়ে গিয়েছিলেন; সেই মর্যাদাটা ’৭৫ এর পর বাঙালি জাতি হারিয়ে ফেলেছিল। কিন্তু আজকে আমি অন্তত এটুক দাবি করতে পারি আবার বাঙালি বিশ্বের দরবারে এখন মাথা উঁচু করে চলতে পারে। সে মর্যাদা আমরা ফিরিয়ে এনেছি। আর এই মর্যাদা আমাদের সমুন্নত রেখেই আগামীর দিনে এগিয়ে যেতে হবে।
আরও পড়ুন: একুশে পদক তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, কারো কাছে হাত পেতে নয়, ভিক্ষা করে নয়, আমরা আত্মমর্যাদা নিয়ে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলব। কারণ, একুশ আমাদের মাথা নত না করা শিখিয়েছে। কাজেই, আমরা মাথা নত করে নয় মাথা উঁচু করে চলব।
এর আগে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এবারের একুশে পদক ২০২৪ বিজয়ী ২১ জনের তালিকা প্রকাশ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে।
একুশে পদকে ভূষিতরা হলেন যারা:
ভাষা আন্দোলনে মৌ. আশরাফুদ্দীন আহমদ (মরণোত্তর), ভাষা আন্দোলনে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাতেম আলী মিয়া (মরণোত্তর), শিল্পকলায় (সংগীত) জালাল উদ্দীন খাঁ (মরণোত্তর), শিল্পকলায় (সংগীত) বীর মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণী ঘোষ, শিল্পকলায় (সংগীত) বিদিত লাল দাস (মরনোত্তর), শিল্পকলায় (সংগীত) এন্ড্রু কিশোর (মরনোত্তর), শিল্পকলায় (সংগীত) শুভ্রদেব, শিল্পকলায় (নৃত্যকলা) শিবলী মোহাম্মদ, শিল্পকলায় (অভিনয়) ডলি জহুর, শিল্পকলায় (অভিনয়) চিত্রনায়ক এম. এ. আলমগীর, শিল্পকলায় (আবৃত্তি) খান মো. মুস্তাফা ওয়ালীদ (শিমুল মুস্তাফা), শিল্পকলায় (আবৃত্তি) রূপা চক্রবর্তী, শিল্পকলায় (চিত্রকলা) শাহজাহান আহমেদ বিকাশ, শিল্পকলায় (মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ ও আর্কাইভিং) কাওসার চৌধুরী, সমাজসেবায় মো. জিয়াউল হক, সমাজ সেবায় আলহাজ্ব রফিক আহামদ, ভাষা ও সাহিত্যে মুহাম্মদ সামাদ (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভাইস চ্যান্সেলর), ভাষা ও সাহিত্যে লুৎফর রহমান রিটন, ভাষা ও সাহিত্যে মিনার মনসুর, ভাষা ও সাহিত্যে রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ (মরনোত্তর) এবং শিক্ষায় প্রফেসর ড. জিনবোধি ভিক্ষু।
এজে/দীপ্ত সংবাদ