ঢাকার বায়ুমানের অবস্থা বেশ অবনতি ঘটেছে। মাত্র একদিনে বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) রাজধানীর একিউআই স্কোর ৯৩ থেকে ১১০ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। স্কোর অনুযায়ী, দূষিত শহরের তালিকায় আজ ঢাকার অবস্থান অষ্টম। বুধবার (১৩ আগস্ট) এ অবস্থান ছিল ১৫ম। ফলে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ৭ ধাপ অবনতি ঘটেছে বিশ্বের অন্যতম জনবহুল এই শহরের বায়ুমান।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ১৫ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার বায়ুমান ১১০ স্কোরে পৌঁছেছে, যা সংবেদনশীল মানুষের জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত।
বর্ষার শুরু থেকে ঢাকার বাতাস তুলনামূলকভাবে ভালো ছিল। বর্ষার বেশির ভাগ দিনই বায়ুমান সহনীয় ছিল, মাঝে মাঝে তা বিশুদ্ধ পর্যায়ে থাকলেও, বৃহস্পতিবার ক্ষতিকর কণার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় বায়ুমানের অবনতি ঘটেছে।
দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ভিয়েতনামের হ্যানয়। সেখানে একিউআই স্কোর ১৬৬, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত। শীর্ষ পাঁচে আরও রয়েছে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর কিনশাসা (১৫৯), পাকিস্তানের লাহোর (১২৭), ইরানের তেহরান (১২২) এবং উগান্ডার কাম্পালা (১১৯)।
একিউআই স্কোরের মান অনুযায়ী ০–৫০ ‘ভালো’, ৫১–১০০ ‘মাঝারি’, ১০১–১৫০ ‘সংবেদনশীলদের জন্য অস্বাস্থ্যকর’, ১৫১–২০০ ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১–৩০০ ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১–৪০০ ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। বিশেষ করে শিশু, প্রবীণ ও অসুস্থদের জন্য এই ধরনের পরিবেশে বাড়ির ভেতরে অবস্থান করা নিরাপদ।
২০২৩ সালে প্রকাশিত ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল (বিএমজে)-এর একটি সমীক্ষা অনুসারে, জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সৃষ্ট বায়ুদূষণ বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।