ঠাকুরগাঁওয়ে ঋণের চাপ সইতে না পেরে আত্মহত্যা পথ বেছে নিলেন এক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে সদর উপজেলার কেশুরবাড়ী তাঁতিপাড়া এলাকা থেকে রবীন্দ্র দেবনাথ (৫৫) নামে ওই শিক্ষকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
তিনি সদর উপজেলার ভূল্লী থানার চরণখোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
রবীন্দ্র দেবনাথের ছোট ভাই কৃষ্ণ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, বুধবার বিদ্যালয় থেকে দাপ্তরিক কাজ শেষে বাড়িতে ফিরেন তার ভাই রবীন্দ্র। এরপর বিকালে স্থানীয় একটি বাজারে যান। এদিন রাতে বাড়ির অদূরে বাঁশঝাড়ে বাঁশের সঙ্গে তার মরদেহ রশিতে ঝুলতে দেখে প্রতিবেশীরা। তাদের ডাক–চিৎকার শুনে বাজারের লোকজন ছুটে আসেন এবং পুলিশে খবর দেন।
কৃষ্ণ চন্দ্র দেবনাথ আরও জানান, তার ভাই বিভিন্ন জায়গা থেকে ঋণ নেওয়ার পর লোকসানে পড়ে যায়। এ কারণে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে পারেন।
আরও পড়ুন: ঋণে জর্জরিত, প্রধান শিক্ষকের আত্মহত্যা
কেশুরবাড়ী তাঁতিপাড়া এলাকার রুবেল রানা নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ধারনা করা যাচ্ছে কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে অপমান সহ্য করতে না পেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন স্যার। এনজিওর চাপে পড়ে আত্মহত্যার ঘটনার এ রকম আরো অনেক উদাহরণ রয়েছে।
একই গ্রামের সাহেরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি বলেন, একজন প্রধান শিক্ষকের এমন মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা দরকার।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ফয়জুর রহমান বলেন, ‘রবীন্দ্র দেবনাথ সহজসরল ও একজন আদর্শ শিক্ষক ছিলেন। সম্প্রতি বিভিন্ন জায়গা থেকে ঋণ নিয়ে পরিশোধ করতে না পেরে মানসিক চাপে ছিলেন। ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে চাপের মুখে তিনি হয়তো আত্মহত্যা করেন।‘
ভূল্লি থানার ওসি দুলাল উদ্দীন বলেন, ঋণের চাপে ওই প্রধান শিক্ষক আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) অনুমতিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মৃতদেহ সৎকার জন্য তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
হিমেল/ আল / দীপ্ত সংবাদ