সাধারণত বেশিরভাগ ঘূর্ণিঝড়ই উপকূল অতিক্রম করার কিছুক্ষণ পরই নিম্নচাপে পরিণত হয়। সেই নিয়ম না মেনে ঘূর্ণিঝড় আকারেই দেশের ভেতরের দিকে এগোচ্ছে ‘রিমাল’। বর্তমানে কয়রা, খুলনার কাছে অবস্থান করছে। আবহাওয়া অধিদফতরের সম্ভাব্য গতিপথ অনুযায়ী এটি ঢাকা হয়ে সিলেটের দিকে চলে যাওয়ার কথা।
এদিকে ঝড়ের প্রভাবে ঢাকাসহ দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলে ঝড়ো হাওয়াসহ ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় প্রায় সারা দেশে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি, পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধ্বস এবং উপকূলীয় এলাকায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে।
আবহাওয়ার সর্বশেষ বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করে বর্তমানে কয়রা, খুলনার কাছে অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমশঃ বৃষ্টি ঝরিয়ে পরবর্তী ২ থেকে ৩ ঘণ্টার মধ্যে কিছুটা দুর্বল হয়ে ঘুর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে আগের মতোই ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকেও আগের মতো ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
এদিকে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার নদী বন্দরগুলোকেও আগের মতো ৫ নম্বর নৌ–মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ ভারী (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার/২৪ ঘণ্টা) থেকে অতি ভারী (২৮৯ মিলমিটার/২৪ ঘন্টা) বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধ্বস হতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।