উচ্চশিক্ষায় যে প্রতিবন্ধকতাগুলো রয়েছে, সেগুলো দূর করার একটি পদ্ধতিগত পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা ড. সি আর আবরার। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকল অংশীদারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বিশবিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাজধানীর বেইলি রোডে অফিসার্স ক্লাবে সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটির তৃতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন ।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘উচ্চশিক্ষায় যে প্রতিবন্ধকতাগুলো রয়েছে, সেগুলো দূর করার একটি পদ্ধতিগত পরিবর্তনের উদ্যোগ আমরা শুরু করব এবং সেটিকে বাস্তবায়নের দিকেও নিয়ে যাব। আশা করি, সকল অংশীদার—পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে আমরা বিশবিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে সক্ষম হব।’
সদ্য স্নাতকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বর্তমান শিল্প–বিপ্লবের এই যুগে একদিকে যেমন প্রযুক্তির উৎকর্ষতা ও নতুন সম্ভাবনা রয়েছে, অন্যদিকে রয়েছে নানাবিধ চ্যালেঞ্জ। এগুলো তোমাদের মোকাবিলা করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।’
ড. আবরার বলেন, ‘আমি এমন এক শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে যেতে চাই, যেখানে সামগ্রিক উন্নয়নের সঙ্গে সৃষ্টি হবে আত্মোন্নয়নের পথ; যা হবে আর্থ–সামাজিক উন্নয়নে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উৎকর্ষে সহায়ক; ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মূল্যবোধসম্পন্ন নাগরিক অধিকার।’
‘আমি এমন শিক্ষাব্যবস্থার স্বপ্ন দেখি, যেখানে আমাদের ছাত্র–ছাত্রীরা দেশের ভেতরেই তাদের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারবে; বাংলাদেশ থেকেই শিক্ষার্থীরা পুরো বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবে।’
সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটি নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটি অবস্থানের দিক থেকে এমন একটি স্থানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে পুরান ঢাকার বিশাল জনগোষ্ঠীর নারীদের প্রতিষ্ঠানটি উচ্চশিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করেছে। এমন স্থানে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য সম্পৃক্ত উদ্যোক্তাদের অভিনন্দন জানান তিনি।
এ সময় অভিভাবকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘যে আশা নিয়ে আপনার সন্তানকে এই প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করেছেন, আমি আশা করি, আপনাদের সন্তানরা সেই আশার আলো দেখাবে এবং ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার জন্য নিজেদের নিয়োজিত করবে।’
অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য, উপাচার্য, উপ–উপাচার্য, শিক্ষকমণ্ডলী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আল