উত্তরবঙ্গের একমাত্র প্রবেশদ্বার বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়ক। বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থেকে হাটিকুমরুল হয়ে চান্দাইকোনা মহাসড়কে ৫০ কিলোমিটারজুড়ে ছোট-বড় মিলে ২০টি স্থান সংস্কারের জন্য প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৪টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে যানজটের বেশি আশঙ্কা রয়েছে।
স্বাভাবিক সময়ে দিনে প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার যানবাহন চলাচল করলেও ঈদে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় দুই থেকে তিন গুণ। অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ আর রাস্তা প্রশস্তকরণ ও সংস্কারকাজে ধীরগতি থাকার কারণে সৃষ্টি হয় যানজট। আর এতে করে যাত্রীদের পোহাতে হয় দুর্ভোগ ও চরম ভোগান্তি।
এ মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের ২২টি জেলার যানবাহন চলাচল করে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এ মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম পাড় থেকে চান্দাইকোনা পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ২০ রোজার মধ্যে এসব ঝুঁকিপূর্ণ স্থান সংস্কার করতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে তাগিদ দেয়া হয়েছে।
এ মহাসড়কে কোনাবাড়ী, ঝাঈল, গোলচত্বর ফুড ভিলেজ, নলকা, পাচলিয়া, মুলিবাড়ি, সয়দাবাদ, চান্দাইকোনা ব্রিজ, জমজম হোটেল, হাটিকুমরুল, ভুইয়াগাতী, সাহেবগঞ্জ সড়ক রয়েছে বেশ ঝুঁকিতে। এ ছাড়াও নবনির্মিত নলকা সেতুর উত্তরের লেন খুলে দিলেও ঢাকামুখী লেন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ঢাকামুখী লেন বন্ধ করে দেয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ পুরাতন সেতু দিয়েই চলাচল করছে যানবাহন। এতে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
এদিকে বিভিন্ন পরিবহনের চালকরা জানান, ঈদের আগে মহাসড়কের বেশ কিছু অংশ সংস্কার করলে যানজট নিরসন কিছুটা হলেও সম্ভব হবে।
হেগো–মির আকতার জেভির প্রকল্প ম্যানেজার এখলাস উদ্দিন বলেন, ‘সংস্কারকাজ চলছে। আশা করছি আগামী ২০ রোজার মধ্যে কাজ শেষ হবে। তখন আশা করা যাচ্ছে এই সড়কে আর যানযট হবে না।
তিনি আরো জানান, যানজট রোধে এই সড়কের ৫টি ব্রিজ ঈদের আগেই খুলে দেয়া হবে। ফলে মানুষ নির্বিঘ্নে ঘরে ফিরতে পারবেন বলে আশা করেন তিনি ।
প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ট্রাফিক পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি জেলা পুলিশের সদস্যরা যানজট নিরসনে কাজ করবে ।
অনু/দীপ্ত সংবাদ