পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটিকে ঘিরে সাগরকন্যা খ্যাত কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে বাড়তে শুরু করেছে পর্যটকদের সমাগম। শনিবার (৭ জুন) দুপুরের পর থেকেই হাজারো পর্যটক ভিড় করতে শুরু করেন সৈকতের বালুকাবেলায়। অবশ্য, আগের দিন শুক্রবার (৬ জুন) থেকেই ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়ে পুরো কুয়াকাটা এলাকায়।
অনেকেই সপরিবারে ছুটে এসেছেন সৈকতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগে। শিশু–কিশোরদের দল সমুদ্রের ঢেউয়ের সঙ্গে মেতে উঠেছে আনন্দে। কেউ কেউ বালুর উপর ফুটবল খেলায় মেতে আছে, আবার কেউবা সৈকতের বেঞ্চে বসে উপভোগ করছেন ঢেউয়ের গর্জন আর সূর্যাস্তের নয়নাভিরাম দৃশ্য।
বর্তমানে আগত পর্যটকদের বেশিরভাগই স্থানীয় এলাকা ও আশপাশের জেলা থেকে আসা। তবে কুয়াকাটা হোটেল–মোটেল মালিক সমিতি ও পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের আশা, ঈদের দিন ও পরবর্তী দুই–তিন দিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে লক্ষাধিক দেশি–বিদেশি পর্যটকের আগমন ঘটবে।
এদিকে, পর্যটকদের ভিড়ে সৈকতের আশপাশের ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোও জমে উঠেছে। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে তৎপর রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে মোতায়েন রয়েছে পর্যাপ্ত সংখ্যক ট্যুরিস্ট পুলিশ, থানা পুলিশ ও নৌ–পুলিশের সদস্য।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের ইন্সপেক্টর তাপস চন্দ্র বলেন, ‘পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা নিয়মিত টহল দিচ্ছি। কোনো ধরণের হয়রানি কিংবা অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে, সেজন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে।‘
কুয়াকাটা হোটেল–মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি মোতালেব বলেন, ‘এই ঈদে আমরা ভালো পর্যটক সমাগম আশা করছি। রিজার্ভেশনও ভালো হয়েছে। ঈদের ছুটিকে ঘিরে আমরা হোটেল, মোটেল ও রেস্টুরেন্টগুলোতে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিয়েছি।‘
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর ‘সাগরকন্যা’ হিসেবে পরিচিত কুয়াকাটা বাংলাদেশের অন্যতম আকর্ষণীয় সমুদ্রগামী পর্যটন স্পট। এখানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত একসঙ্গে উপভোগ করার সুযোগ থাকে, যা পৃথিবীর খুব কম সৈকতেই দেখা যায়।