ঈদযাত্রায় ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানজট নিরসনে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী।
তিনি বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন প্রস্তুতি নিয়েছি। আশা করছি, সবার প্রচেষ্টায় ঈদযাত্রায় মহাসড়কে যাত্রীদের ভোগান্তি কম হবে। মহাসড়কে যে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে হবে। বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল পারাপারের জন্য আলাদা লেন করা হয়েছে।’
রোববার দুপুরে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সড়কপথে যাত্রী সাধারণের যাতায়াত নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
সড়ক সচিব আরও বলেন, ‘মহাসড়কে যাত্রীদের সেবা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের সঙ্গে আমিও মাঠে থেকে খোঁজ-খবর রাখব। এ ছাড়াও মহাসড়কে ৩২টি পয়েন্টে পুলিশ সদস্যসহ সংশ্লিষ্টরা দায়িত্ব পালন করবে। ঈদযাত্রায় ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকবে।’
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দারের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন সড়ক বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মো. ইসহাক, বিআরটিএর চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার, টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর, টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ প্রমুখ।
প্রতি বছরই ঈদ যাত্রায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব পার পর্যন্ত দুই লেন হওয়ায় এই সাড়ে ১৩ কিলোমিটার এলাকায় তীব্র যানজট হয়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা। ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে উত্তরবঙ্গসহ ২৪ জেলার যানবাহন চলাচল করে। স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতিদিন ১৮ থেকে ২০ হাজার যানবাহন সেতু পারাপার হয়। ঈদের আগে ৪৫ থেকে ৫০ হাজার যানবাহন পারাপার হয়। স্বাভাবিকের চেয়ে অধিক যানবাহন পারাপার হওয়ায় দুই লেনের সড়কে যানজট লেগে যায়। গত ঈদ যাত্রায় এক দিনে ৫৩ হাজারের বেশি যানবাহন সেতু দিয়ে পারাপার হয়েছে।
আল/দীপ্ত সংবাদ