ঈদে আগামীকালের চ্যালেঞ্জটা হচ্ছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। উত্তরমুখী যাত্রাটাই আমাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম। বুধবার( ১৯ এপ্রিল) বিকেলে নবীনগর–চন্দ্রা মহাসড়ক পরিদর্শনে এসে আশুলিয়ার বাইপাইলে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, উত্তরমুখী মানুষের সংখ্যা অনেক বেশী। ১৬ টা জেলার মানুষ এক সাথে যাত্রা করবেন। একই সাথে টাঙ্গাইল জামালপুরের প্রচুর সংখ্যক মানুষ এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করেন। এই মানুষ গুলোর বিরাট একটা অংশ যারা কর্মজীবি না অথবা সরকারি কর্মজীবি তারা কিন্তু গতকাল কিংবা গত পরশুদিন থেকেই যাতায়াত শুরু করেছেন।
তিনি আরও বলেন, আগামীকাল সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জটা হচ্ছে গার্মেন্টস ছুটি হওয়ার পরে একযোগে মানুষ সড়কে নামবে এবং তারা গ্রামে ফিরবে সেজন্য পুলিশ সার্বক্ষনিক সড়কে রয়েছে এবং সিনিয়র কর্মকর্তারা মনিটরিং করছে কন্টিনিউসলি। ডিআইজি বলেন, ‘প্রচন্ড তাপদাহের মধ্যেও পুলিশের সকল ফোর্স সড়কে দাঁড়িয়ে থেকে কাজ করছেন যাতে যানজটের মত ঘটনা না ঘটে। যাতে যানজটের সৃষ্টি না হয় সেই চেষ্টাটাই পুলিশ চালিয়ে যাচ্ছে। এই চেষ্টা শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। সারা বাংলাদেশ ব্যাপীই এই চেষ্টা চলমান থাকবে। সড়কের যত ধরনের নিরাপত্তা থাকা দরকার, ছিনতাই, রোডের অ্যাক্সিডেন্ট, যানজট ইত্যাদি সব ধরনের বিষয় গুলি পুলিশ একযোগে মনিটরিং করছে। সেই লক্ষ্যে প্রচুর পরিমান ডিপ্লয়মেন্ট রয়েছে।
সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, ‘টঙ্গী–আশুলিয়া–ইপিজেড সড়কে যেহেতু এলিভেটেড এক্সপ্রেসের কাজ চলছে, সড়কটিও সরু সেজন্যে আব্দুল্লাহ পুর থেকে পরিস্থিতি বুঝে গাড়ি ছাড়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া যেসব জায়গায় যানজটের শঙ্কা রয়েছে সেসব জায়গায় অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য নিয়োগ মোতায়েন রয়েছে।
সব শেষে তিনি বাংলাদেশের নাগরিক যারা এই সড়ক ব্যবহার করে বাড়িতে যাবেন তাদের ঈদের শুভেচ্ছা জানান। এসময় ঢাকা জেলা পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আল/দীপ্ত সংবাদ