বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে রাজধানী ঢাকার বায়ুদূষণ। তবে ঈদুল আজহার ছুটির কারণে রাজধানীর রাস্তায় গাড়ি চলাচল কম। বেশিরভাগ রাজধানীবাসী ঈদ উদযাপন করতে গ্রামের বাড়িতে চলে যাওয়ায় বাতাসের মান কিছুটা উন্নত হয়েছে।
পবিত্র ঈদুল আজহার সরকারি ছুটির মধ্যে মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকাল সোয়া ১০টায় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) মানদণ্ড অনুযায়ী, ৮৭ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ১১তম স্থানে রয়েছে রাজধানী ঢাকা, যা দূষণের দিক থেকে ‘মধ্যম’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
একিউআই মানদণ্ড অনুযায়ী, বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ১৯০ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে কঙ্গোর কিনশাসা, ১৮২ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা, ১৭৭ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে উগান্ডার কাম্পা।
উল্লেখ্য, একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ “ভালো“, ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকলে তাকে ‘মধ্যম’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আর ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর‘, ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর‘ বলা হয়, ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো– বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়। ২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো– ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
এসএ/দীপ্ত সংবাদ