দীপ্ত নিউজ ডেস্ক
ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য ও যাত্রী হয়রানি বন্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
রবিবার (২৩ মার্চ) সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরীর এই দাবি জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, ঈদকে কেন্দ্র করে সড়ক, নৌ ও আকাশপথে বিভিন্ন পরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য শুরু হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হলেও প্রকাশ্য বিভিন্ন শ্রেণির বাস ও লঞ্চে নানান কায়দায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ), বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ–পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) পক্ষ থেকে যাত্রী প্রতিনিধি ছাড়া কেবল বাস ও লঞ্চের মালিকদের নিয়ে স্বৈরাচারী কায়দায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায় মনিটরিংয়ের জন্য ভিজিলেন্স টিম গঠন করা হয়েছে।
যাত্রী কল্যাণ সমিতি মহাসচিব আরও বলেন, যাত্রীর স্বার্থ দেখবে কে? পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সড়কে চাঁদা কমেছে ভাড়া না কমায় যাত্রীরা সুফল থেকে বঞ্চিত। এমন পরিস্থিতিতে এবার ঈদে ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন রুটে এসি–ননএসি বাসে ৩০০ থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি ভাড়া নেয়া হচ্ছে।
চট্টগ্রাম থেকে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন রুটের বাসে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী, বগুড়া, নওগাঁ, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের তথ্য পাওয়া গেছে বলেও জানান মোজাম্মেল হক চৌধুরী।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ঢাকার সদরঘাট নৌবন্দর থেকে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন রুটে অতিরিক্ত ভাড়ায় ঈদের অগ্রিম টিকিট মিলছে। আকাশপথে ঢাকা–সৈয়দপুর, ঢাকা–কক্সবাজার, ঢাকা–চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন অভ্যান্তরীণ রুটে ভাড়া ডাকাতি চলছে। অনতিবিলম্বে ঈদযাত্রায় সকল পথে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য ও যাত্রী হয়রানি বন্ধ করতে হবে।
এসএ
