পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে যাত্রী সাধারণের সুবিধার্থে দৌলতদিয়া–পাটুরিয়া নৌরুটে ১৮টি ছোট–বড় ফেরি ও ২০টি লঞ্চ চলাচল করবে। এছাড়া ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ও কোরবানির পশুবাহী ট্রাক পারাপার নিশ্চিত করতে দৌলতদিয়া–পাটুরিয়া নৌরুটে ঈদের আগে ও পরে মোট ৬ দিন জরুরি ও পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক ছাড়া চলাচল বন্ধ থাকবে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে দৌলতদিয়া–পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি সার্ভিস, নৌপথে লঞ্চসহ অন্যান্য জলযানসমূহের সুষ্ঠুভাবে চলাচল নিশ্চিতকল্পে, ঘাটের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও যাতায়াত নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে সমন্বয় সভায় এ তথ্য জানান জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান।
সমন্বয় সভার সভাপতি জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান বলেন, পশুবাহী ট্রাক, জরুরি সেবা ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যবাহী ট্রাক ব্যতীত সকল পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ডভ্যান নিয়ে ঈদের আগে ১৪ জুন থেকে ঈদের পরে ২০ জুন পর্যন্ত মোট ৬ দিন ফেরি পারাপার বন্ধ থাকবে। রাতে সব ধরনের বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ থাকবে। এছাড়া ১২ জুন থেকে ১৬ জুন পর্যন্ত পাটুরিয়া থেকে দৌলতদিয়াগামী লঞ্চে কোনো প্রকার মালামাল বহন করা যাবে না এবং ১৮ জুন থেকে ২২ জুন পর্যন্ত দৌলতদিয়া থেকে পাটুরিয়াগামী যাত্রীবাহী লঞ্চে মালামাল বহন করা যাবে না। ঈদযাত্রায় ১৮টি ফেরি ও ২০টি লঞ্চ চলাচল করবে। ঘাট এলাকায় বাসের ভাড়ার মূল্য তালিকার চার্ট টানিয়ে দিতে হবে। যাত্রীদের সুবিধার্থে ঘাট এলাকায় সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকবে। ঘাট এলাকায় সার্বক্ষণিক আলোকসজ্জার ব্যবস্থা থাকবে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মুকিত সরকার বলেন, ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় চাঁদাবাজি ও দালাল চক্রের দৌরাত্ম থাকবে না। পশুবাহী ট্রাক যাতে নির্বিঘ্নে পার হতে পারে সে ব্যাপারে আমাদের নির্দেশনা দেওয়া আছে। ঘাট এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছি।
বিআইডব্লিউটিসি ও বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তারা বলেন, আসন্ন ঈদে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার নির্বিঘ্ন করতে ১৮টি ফেরি এবং ২০টি লঞ্চ চলাচল করবে। প্রায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। দৌলতদিয়া প্রান্তের ঘাট সচল থাকবে ৩টি।
সমন্বয় সভায় জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহীম টিটন, পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মুকিত সরকার, গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র, গোয়ালন্দ পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম মন্ডল, গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রাণবন্দু চন্দ্র বিশ্বাস, বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সালাহউদ্দিন, রাজবাড়ী সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক লিটন, লঞ্চ মালিক সমিতির প্রতিনিধি জুয়েল রানা, রাজবাড়ী জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি আক্তারুজ্জামান হাসান, রাজবাড়ী জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ, দৌলতদিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) ফরিদ উদ্দিন, জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের প্রশিক্ষণ অফিসার ডা. মো. নুরুল ইসলাম তালুকদারসহ অন্যান্যরা।
সুপ্তি/ দীপ্ত সংবাদ