ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক প্রতিশোধের কোনও পরিকল্পনা ইরানের নেই। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ইসরায়েলের হামলার কয়েক ঘণ্টা পর বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ কথা বলেন ইরানের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা।
ইরানের সেই কর্মকর্তা বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে কোনো বিদেশি সূত্রের সংযোগ এখনো নিশ্চিত করা হয়নি। আমরা বিদেশি শক্তির কোনো হামলা দেখিনি। তা ছাড়া, আক্রমণের চেয়ে অনুপ্রবেশের দিকেই বেশি ঝুঁকছে এ সম্পর্কিত আলোচনা।’
ইরানের একজন নিরাপত্তা বিশ্লেষক আজ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দাবি করেছেন, যে ড্রোনগুলো গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে; সেগুলো দেশের ভেতর থেকেই অনুপ্রবেশকারীরা উড়িয়েছিল।
এ ছাড়া ইরানের গণমাধ্যমের দাবি, ইসপাহান কিংবা ইরানের কোনো অংশেই বাইরের দেশের কোনো আক্রমণ হয়নি। তাসনিম নিউজ এজেন্সি সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে বলেছে যে, ইস্পাহান বা ইরানের অন্য কোনো অংশে বিদেশি কোনো হামলার খবর পাওয়া যায়নি।
ইরানের হামলার প্রতিশোধ হিসেবে দেশটিতে আজ আক্রমণ করেছে ইসরায়েল। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি আক্রমণ ঠেকাতে ইরানের প্রদেশগুলোতে আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল। এ ছাড়া ইরানের ইসপাহান নগরীর বিমানবন্দরেও বিস্ফোরণের কথা জানা গেছে।
তবে ইরান জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্র নয়, ড্রোন হামলা হয়েছিল। এসব ড্রোনের অধিকাংশই ভূপাতিত করা হয়েছে এবং এই হামলায় ইসপাহানে অবস্থিত নাতাঞ্জ পরমাণু কর্মসূচি অবকাঠামোর কোনো ক্ষয়ক্ষতিই হয়নি।
এদিকে, ইরানে ইসরায়েলি হামলার খবরের পর দেশটির বিভিন্ন স্থানের বিমানবন্দরগুলোর কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছিল। ইরানের রাজধানী তেহরানের দুটি বিমানবন্দরও সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়। তবে অল্প সময় পরেই তেহরানের বিমানবন্দর দুটির কার্যক্রম আবারও চালু হয়েছে।