ফিলিস্তিনের গাজায় আক্রমণ ও গণহত্যার দায়ে ইসরায়েলকে ফুটবল সংক্রান্ত যেকোনো কর্মকাণ্ড থেকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে আসছে বিশ্বের অনেক দেশ। এসবের মাঝে আরও একটি আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচ খেলছে ইসরায়েল। ইতালির কাছে হারের স্বাদ পাওয়া ম্যাচে, ইসরায়েলের মূল একাদশে ছিলেন দুই মুসলিম ফুটবলার।
নিরাপত্তা শঙ্কায় উয়েফা নেশন্স লিগের হোমম্যাচ নিজ দেশে আয়োজন করেনি ইসরায়েল। নিরপেক্ষ ভেন্যু হিসেবে হাঙ্গেরিকে বেছে নিয়েও ২–১ গোলে হেরেছে ইহুদি রাষ্ট্রটি। ঘটনাবহুল ম্যাচে ইতালির জালে একবার বল জড়ায় ইসরায়েল। ম্যাচের ৯০ মিনিটে, মিডফিল্ডার মোহাম্মদ আবু ফানি‘র গোলে, রীতিমত স্তব্ধ হয়ে পড়ে হাঙ্গেরির বোজসিক অ্যারেনা।
ইসরায়েলের মূল একাদশে থাকা দু‘জন মুসলিম ফুটবলারদের একজন মোহাম্মদ আবু ফানি। দেশটির কাফর কারা শহরে, ১৯৯৮ সালে মুসলিম পরিবারে জন্ম তার। বাবা সামি আবু ফানি, একজন প্রাক্তন ফুটবলার। মূলত সেখান থেকেই, আবু ফানি‘র ফুটবলার হিসেবে বেড়ে ওঠা।
অনূর্ধ্ব–১৯ ও ২১ দলের হয়ে ১৮ ম্যাচ খেলার পর সুযোগ পান জাতীয় দলে। স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে উয়েফা ইউরো ২০২০ বাছাইয়ের প্লে–অফের ম্যাচ দিয়ে জাতীয় দলে অভিষেক হয় এই মিডফিল্ডারের। ইতালি‘র বিপক্ষে করা গোলটি আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে প্রথম গোল।
ইতালির বিপক্ষে ম্যাচে ইসরায়েল একাদশে খেলা দ্বিতীয় মুসলিম ফুটবলার আনান খালাইলি। ২০০৪ সালে জন্ম নেওয়া এই উইঙ্গার, আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত খেলেছেন চার ম্যাচ। দেশটির হাইফা শহরে একটি আরব–ইসরায়েলি পরিবারে জন্মগ্রহণ খালাইলির। তার বাবা মাজদি খালাইলি ছিলেন গোলরক্ষক এবং ইসরায়েল ফুটবল দলের ম্যানেজার।
আনান খালাইলি বেলজিয়ান প্রো লিগ ক্লাব, ইউনিয়ন এসজি‘র হয়ে খেলছেন। তার আগে ইসরায়েলের ক্লাব মাক্কাবি হাইফার হয়ে, ৩০ ম্যাচে আট গোল করেন তিনি।
মোহাম্মদ হাসিব/এসএ/দীপ্ত সংবাদ