ইরানে কয়েক ডজন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিষাক্ত গ্যাস প্রয়োগের ঘটনায় অসুস্থ হয়ে পড়েছে শতাধিক শিক্ষার্থী। শনিবার (৪ মার্চ) ইরানের ৩১টি প্রদেশের মধ্যে অন্তত ১০টি প্রদেশের ৩০টিরও বেশি বিদ্যালয়ে বিষাক্ত গ্যাস প্রয়োগের ঘটনা ঘটে।
দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রাইসি বিষাক্ত এ গ্যাস প্রয়োগের ঘটনাকে ‘বিদেশি ষড়যন্ত্র’ বলে অভিযোগ করেছেন। শুক্রবার (০৩ মার্চ) দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেয়া এক ভাষণে তিনি বিষ প্রয়োগের সঙ্গে জড়িতরা ইরানের শত্রু বলে দাবি করেন।
তিনি বলেন, দেশের অভ্যন্তরে বিশৃঙ্খলা তৈরি ও অভিভাবক–শিক্ষার্থীদের মাঝে ভীতি তৈরি করতেই এমন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হচ্ছে। তবে কারা এ শত্রু সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছুই বলেননি রাইসি। ধারণা করা হচ্ছে, এ অভিযোগের তীর যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের প্রতি।
ইরানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, শিক্ষার্থীরা হালকা বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিল। দেশটির কতিপয় রাজনীতিবিদ অভিযোগ করেছেন, এ আক্রমণের পেছনে নারী শিক্ষাবিরোধী কট্টর ইসলামপন্থিরা জড়িত থাকতে পারে।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তারা বিদ্যালয়গুলো থেকে যে নমুনা সংগ্রহ করেছেন, তাতে সন্দেহজনক উপাদানের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে গভীরতর তদন্ত চলছে।
শিক্ষার্থীদের অসুস্থতার প্রতিবাদে শনিবার পশ্চিম তেহরানের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভবনের বাইরে অভিভাবকদের জমায়েত সরকারবিরোধী বিক্ষোভে পরিণত হয়। বিক্ষোভকারীরা এ সময় সরকার এবং দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে লক্ষ্য করে বিভিন্ন স্লোগান দেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভ ছাড়াও রাজধানী তেহরানের আরও দুটি জায়গায় বিক্ষোভ হয়। এর বাইরে ইস্পাহান এবং রাশত শহরেও সরকারবিরোধী বিক্ষোভ হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েপড়া ভিডিওগুলোতে দেখা যায়, অভিভাবকরা সন্তানদের বাড়িতে নিয়ে যেতে স্কুলের সামনে সমবেত হয়েছেন এবং কিছু শিক্ষার্থীকে অ্যাম্বুলেন্স বা বাসে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
অনু/দীপ্ত সংবাদ