চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় ইজিবাইক চালক জহুরুল ইসলাম হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড ও তিন বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৩০ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মাসুদ আলী আসামীদের উপস্থিতিতে ওই রায় দেন। এরমধ্যে দণ্ডপ্রাপ্ত দুই জন আসামী পলাতক রয়েছেন।
নিহত জহুরুল ইসলাম চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ফার্মপাড়ার বাসিন্দা।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন– যশোর জেলার চাচড়া রায়পাড়ার আব্দুস ছালামের ছেলে ফজলুর রহমান, ঠাকুরগাঁও জেলার মাধবপুর গ্রামের শ্রী গনেশ চন্দ্র রায়ের ছেলে শ্রী দিপক কুমার রায় ও গোপালগঞ্জ জেলার গাড়ইগাত গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে আবু সুফিয়ান মোল্লা।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ১০ আগস্ট বিকেলে দামুড়হুদার পরানপুর মাঠের একটি বেগুন ক্ষেতে ইজিবাইক চালক জহুরুল ইসলামকে গলা কেটে হত্যা করে তার ইজিবাইকটি ছিনতাই করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ৩০ নভেম্বর ৬ জনকে আসামী করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দর্শনা তদন্ত কেন্দ্রের উপ–পরির্দশক আরিফুর রহমান।
পরে ৩০ জন স্বাক্ষীর মধ্যে ৯ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আজ বুধবার দুপুরে ওই রায় দেন বিচারক। এরমধ্যে মৃত্যুপ্রাপ্ত আসামী ফজলুর রহমান ও মামলার দুই বছর সাজাপ্রাপ্ত আরেক আসামী পলাতক রয়েছে।
মামলার অন্য দুই আসামী চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ফার্মপাড়ার ইয়ামিন আলীর ছেলে মোহাম্মদ দিলন ও দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়।
আসামী পক্ষের আইনজীবী ফজলে রাব্বি সাগর বলেন, এই রায়ের বিপক্ষে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।
রাষ্ট্রীয় পক্ষের আইনজীবী এপিপি গিয়াস উদ্দিন বলেন, পলাতক আসামীদের গ্রেফতারে পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। তাদের দ্রুত গ্রেফতার করতে পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এসএ/দীপ্ত নিউজ