প্রবাসীর নিকট ইউপি সদস্যের চাঁদা দাবি ও হয়রানির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী ফেনীর সোনাগাজী মতিগঞ্জ ইউনিয়নের গোলাল আহমেদর ছেলে ইরাক প্রবাসী আমির হোসেন।
রবিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে পালগিরি গ্রামের নিজ বাড়ীতে সংবাদ সম্মেলনে করে আমির হোসেন অভিযোগ করে বলেন, আমি একজন ইরাক প্রবাসী, প্রবাসের কষ্টার্জিত টাকায় পালগিরি মৌজার সিএস ১৬৬ দাগ, বিএস ৩২৭ দাগে ২ শতাংশ পুকুরের অংশ কবরস্থানের জন্য খরিদ করেন। যা (৩০/১০/২০২৩ তারিখের ৬০ শতাংশ আমার নামে বায়নাপত্র করা) ও ৫/১২/২০২৩ তারিখে মতিগঞ্জ সাব রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে সম্পাদিত দলিল নং ৭৬৭৫/২৩ মুলে জায়গার মালিক ও দখলদার।
এমতাবস্থায় মতিগঞ্জ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান সেলিমের সাথে বায়নাপত্রের বিষয় নিয়া পরামর্শ করতে বসি, তিনি কাগজপত্র দেখে বলেন এই জায়গা নিয়ে সমস্যা আছে তোমার অনেক টাকা খরচ করতে হবে, আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম কত টাকা? তিনি কিছুক্ষণ পরে জানান ৫ লাখ টাকা লাগবে। আমি আমার প্রবাসে উপার্জিত এতো কষ্টের টাকা তাকে দিতে রাজি না হওয়ায় তিনি আমার সাথে উত্তেজিত আচরণ করেন, জায়গা কিভাবে দখলে নাও আমি দেখে নিবো বলে রাগান্বিত অবস্থায় আমার ঘর থেকে বের হয়ে চলে যান। আমার পারিবারিক কবরস্থানের জায়গায় বাউন্ডারি দিয়ে জবরদখল করতে সেলিম মেম্বার ইট নিয়ে আসেন, এসময় আমি ও আমার বাবা সামাজিক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে আমাদের জায়গার কাগজপত্র প্রদর্শন করে মালিকানা দাবি করি। বিকেল সাড়ে ৪টায় কিছু অপরিচিত লোকজন নিয়ে এসে আমার ভিডিও ধারন করে নানারকম হুমকি ধমকি প্রদান করেন। আমি সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, সোনাগাজীর ইউএনও, মডেল থানার ওসি সহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। ইতিমধ্যে সোনাগাজী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছি।
প্রবাসী আমির হোসেনের সংবাদ সম্মেলনের প্রেক্ষিতে চাদাঁ দাবীর অভিযোগের বিষয়ে ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান সেলিমকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি চাঁদা দাবীর বিষয়ে সম্পুর্ণ অস্বীকার করেন। এটি তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে দাবী করেন।
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুদ্বীপ রায় পলাশ বলেন, প্রবাসীর একটি অভিযোগ এসেছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদা দাবি, আটক ১
মামুন/ আল / দীপ্ত সংবাদ