শেষ পর্যন্ত ইউক্রেনে নিষিদ্ধ ক্লাস্টার বোমা পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র। গত সপ্তাহে ইউক্রেনকে ক্লাস্টার বোমা দেওয়ার ঘোষণা দেবার ছয় দিনের মধ্যে ইউক্রেনে পৌঁছে গেছে মার্কিনিদের এ বিপজ্জনক বোমা। খবর দ্য গার্ডিয়ান।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পেন্টাগন বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
তাভরিয়া মিলিটারি কমান্ড ইন সাউদার্ন ইউক্রেনের মুখপাত্র ভালেরি শেরশেন বলেন, ক্লাস্টার বোমাগুলো সবেমাত্র ইউক্রেনে পৌঁছেছে।
মার্কিন জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের অপারেশন্স পরিচালক লেফটেনেন্ট জেনারেল ডগলাস সিমস স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ মুহূর্তে ইউক্রেনে ক্লাস্টার বোমা পাঠানো হয়েছে।’ তবে ইউক্রেনীয়রা এ বোমা ব্যবহার শুরু করেছে কিনা সেটি নিশ্চিত নয়।’
৭ জুলাই যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা দেয়, ইউক্রেনকে ৮০ কোটি মার্কিন ডলারের সামরিক সহায়তার অংশ হিসেবে তারা ক্লাস্টার বোমা পাঠাচ্ছে। তারপর থেকে ১২৩টি দেশে নিষিদ্ধ এ ক্লাস্টার বোমা পাঠানো নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। যুক্তরাষ্ট্র যুক্তি দিয়েছে, রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের প্রতিরোধ যুদ্ধ যেন দুর্বল হয়ে না পড়ে, তাই তারা কিয়ভকে ক্লাস্টার বোমা পাঠিয়ে সহায়তা করছে।
এ বোমা রকেট সদৃশ একটি কাঠামোর ভেতর থেকে। যার মধ্যে একাধিক বিস্ফোরক থাকে। গুচ্ছ বোমার একটি ক্যানিস্টার ১০টি থেকে শুরু করে শত শত ছোট বোমা বহন করতে পারে। লক্ষ্যবস্তুর ওপর নির্ভর করে ক্যানিস্টারগুলো নির্দিষ্ট উচ্চতায় এসে খুলে যায়। ক্লাস্টার বোমা নিক্ষেপের পর তা বিস্তৃত এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে যায়। ফলে সামরিক ছাড়াও বহু বেসামরিক লোক ক্ষতির মুখে পড়েন।
রেড ক্রসের ইন্টারন্যাশনাল কমিটির মতে, বোমা নিক্ষেপের পর কখনও কখনও ১০ থেকে ৪০ শতাংশ বোমার বিস্ফোরণ ঘটে না। অবিস্ফোরিত বোমাগুলো কয়েক বছর এমনকি কয়েক দশক পরও ফোটার সম্ভাবনা থাকে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতে, ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার করে শত্রুপক্ষের সেনা বা তাদের গাড়িবহরে হামলা করলে তা আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় অপরাধ বলে গণ্য হবে না। তবে যদি এ বোমা কোনও বেসামরিককে লক্ষ্য করে ছোড়া হয়, তাহলে সেটি যুদ্ধাপরাধ বলে গণ্য হবে।
এসএ/দীপ্ত নিউজ