আরব আমিরাতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে এশিয়া কাপ মিশনে নামতে যাচ্ছে ভারত। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) এশিয়াকাপের ১৭তম আসরে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মুখোমুখি হবে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
দুবাইয়ে ভারত–আরব আমিরাত ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে আটটায়।
২০২৩ সালে এশিয়া কাপের আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। ওয়ানডে ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত ওই আসরে শ্রীলংকাকে ১০ উইকেটে হারিয়ে রেকর্ড অষ্টমবারের মত শিরোপা ঘরে তোলে ভারত।
টি–টোয়েন্টি ফরম্যাটে এর আগে দুইবার এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তারমধ্যে একবার শিরোপা জিতেছিল ভারত। ২০১৬ সালে বাংলাদেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপের ফাইনালে টাইগারদের ৮ উইকেটে হারিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া।
টানা দ্বিতীয়বারের মত এশিয়া কাপের শিরোপা জয়ে চোখ ভারতের। দলের বোলিং কোচ মরণে মরকেল বলেন, ‘শিরোপা ধরে রাখার লক্ষ্য নিয়ে আমরা এবারের এশিয়া কাপ শুরু করব। টানা দ্বিতীয় শিরোপা জয়ের জন্য মাঠে সেরাটা উজার করে দিতে প্রস্তুত ছেলেরা।’
এদিকে এশিয়া কাপে আরব আমিরাতের রেকর্ড তেমন ভালো নয়। এখন পর্যন্ত ৩ আসরে অংশ নিয়ে ৮ ম্যাচ খেলে একটিতেও জিততে পারেনি আরব আমিরাত। তবে এবারের আসরে অতীত ইতিহাস পাল্টে ফেলতে চায় তারা।
দলের অধিনায়ক মুহাম্মদ ওয়াসিম বলেন, ‘এশিয়া কাপের মঞ্চে এবারের আসরেই প্রথম জয়ের কীর্তি গড়তে চাই আমরা। এবার ইতিহাস বদলাতে চাই। আমি আশাবাদী, এবার ভালো কিছু করে দেখাবে আমার দল।’
আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে মাত্র একবার মুখোমুখি হয়েছিল ভারত–আরব আমিরাত। ২০১৬ সালের এশিয়া কাপের ঐ ম্যাচ ৯ উইকেটে জিতেছিল টিম ইন্ডিয়া।
নিজেদের খেলা ত্রিদেশীয় সিরিজের শেষ চার ম্যাচে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সাথে সবগুলোই হেরেছে আরব আমিরাত।
এক নজরে দুই দলের এশিয়া কাপ স্কোয়াড :
ভারত : সূর্যকুমার যাদব (অধিনায়ক), শুভমান গিল (সহ–অধিনায়ক), অভিষেক শর্মা, তিলক ভার্মা, হার্দিক পান্ডিয়া, শিবম দুবে, অক্ষর প্যাটেল, জিতেশ শর্মা (উইকেটরক্ষক), জসপ্রিত বুমরাহ, আর্শদীপ সিং, বরুণ চক্রবর্তী, কুলদ্বীপ যাদব, সঞ্জু স্যামসন (উইকেটরক্ষক), হরষিত রানা, রিংকু সিং।
সংযুক্ত আরব আমিরাত : মুহাম্মদ ওয়াসিম (অধিনায়ক), আলিশান শারাফু, আরিয়ানশ শর্মা (উইকেটরক্ষক), আসিফ খান, ধ্রুব পারাশার, ইথান ডি’সুজা, হায়দার আলি, হরষিত কৌশিক, জুনায়ের সিদ্দিকি, মতিউল্লাহ খান, মুহাম্মদ ফারুক, মুহাম্মদ জাওয়াদুল্লাহ, মুহাম্মাদ জোহাইব, রাহুল চোপরা (উইকেটরক্ষক), রোহিদ খান, সিমরানজিত সিং, সগির খান।