প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর পঞ্চম ধাপে লালমনিরহাটে ১ হাজার ২৮২ গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবার নতুন বাড়ি পাচ্ছেন।
মঙ্গলবার (১১ জুন) প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কানফারেন্সের মাধ্যমে উপকারভোগী পরিবারগুলোর কাছে জমির মালিকানার দলিল ও ঘরের চাবিসহ বাড়ি হস্তান্তর করবেন।
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার মহিষামুরি আশ্রয়ণ প্রকল্প সরেজমিনে পরিদর্শন শেষে এ কথা জানান প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এ বি এম সারোয়ার-ই-আলম সরকার।
তিনি জানান, ১ হাজার ২৮২ বাড়ির মধ্যে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় ৮৭৫টি, পাটগ্রাম উপজেলায় ৯৯টি, হাতীবান্ধা উপজেলায় ১৬৬টি এবং অদিতমারী উপজেলায় ১৪২টি বাড়ি হস্তান্তর করা হবে।
ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের আবাসন নিশ্চিতে সরকারের লক্ষ্য পূরণ করতে একই দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্রয়ণ প্রকল্প-২’র দ্বিতীয় ধাপের পঞ্চম পর্যায়ে সারাদেশে ১৮ হাজার ৫৬৬টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের কাছে বাড়ি হস্তান্তর করবেন।
তিনি জানান, এই প্রকল্পে প্রতিটি পরিবার একটি আধা পাকা বাড়ির সঙ্গে দুই ডিসি মাইল জমি পাবেন। প্রতিটি বাড়িতে দুটি শয়ন কক্ষ, একটি রান্না ঘর, একটি শৌচাগার ও বারান্দাসহ কমন স্পেস থাকবে।
তিনি আরও জানান, নারীর ক্ষমতায়নের অংশ হিসেবে বাড়ির দলিলে স্বামী ও স্ত্রী উভয়ের নাম থাকবে। এদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ২৬ জেলার ৭০ উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত বলে ঘোষণা করবেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী ৩২টি জেলাকে গৃহহীন ও ভূমিহীন মুক্ত জেলা হিসেবে ঘোষণা করেছেন। আর ১১ জুন প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে দেশের ৫৮টি জেলা গৃহহীন ও ভূমিহীন মুক্ত জেলা হিসেবে পরিণত হবে।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ১৯৯৭ সাল থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত ৫ লাখ ৮২ হাজার ৮৩টি পরিবার পুর্নবাসিত হবেন। তাদের মধ্যে ১ লাখ ৫৯ হাজার ৮৪৮টি পরিবার ব্যারাক হাউজ, ১ লাখ ৫৩ হাজার ৮৫৩ টি পরিবার ভূমির মালিকানাসহ পাকা বাড়ি, কক্সবাজারের খুরুসকুল ইউনিয়নে জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ৬৪০টি পরিবার বহুতল ভবনের ফ্ল্যাটে, ক্ষুদ্র জাতি স্বত্তার সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য বিশেষ নকশায় তৈরি বাড়িতে ৬০০ পরিবার, নদী ভাঙনে আক্রান্ত ১০০ পরিবার, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্ত ১০০০ পরিবার এবং মুজিববর্ষ উদযাপনের সময় ২ লাখ ৬৬ হাজার ১২টি পরিবারকে বাড়ি প্রদান করা হয়।