বিপৎসীমার চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে কাপ্তাই হ্রদের পানির স্তর। পানির স্তর না কমায় কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি জলকপাট মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দুপুর থেকে দেড় ফুট করে খুলে দেওয়া হয়েছে। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৩০ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশিত হচ্ছে।
এ দিকে কাপ্তাই হ্রদে পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় পানিবন্দি হয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন রাঙ্গামাটির জেলার সদর, লংগদু, বরকল, জুরাছড়ি বিলাইছড়িতে নিম্নাঞ্চলের মানুষ।
কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্র জানায়, কাপ্তাই হ্রদের পানির স্তর বিপদসীমায় পৌঁছে যাওয়ায় বাঁধের ১৬টি জলকপাট রবিবার (২৫ আগস্ট) রাত থেকে ৬ ইঞ্চি করে খুলে রাখার পরও হ্রদে পানির স্তর কমেনি। তাই মঙ্গলবার সকাল থেকে এক ফুট করে জলকপাট খুলে দেয়া হয়েছিল। এতে প্রতি সেকেন্ডে ১৮ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশিত হচ্ছিল। কিন্তু পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় দুপুর ২টা থেকে ১৬টি জলকপাট দেড় ফুট করে খুলে দেয়া হয়েছে। যেখানে প্রতি সেকেন্ডে ৩০ হাজার পানি নিষ্কাশন হচ্ছে।
কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এ টি এম আবদুজ্জাহের বলেন, দেড় ফুট করে গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। এতে প্রতি সেকেন্ডে পানি নিস্কাশন হচ্ছে ৩০ হাজার কিউসেক। পাশাপাশি বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট চালু রেখে ২২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। এতে পানি ছাড়া হচ্ছে প্রতি সেকেন্ডে ৩২ হাজার কিউসেক পানি।
উল্লেখ্য, কাপ্তাই হ্রদের পানি ধারণক্ষমতা এখন একেবারেই সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় হ্রদের পানির উচ্চতা ১০৮.৯২ এমএসএল (মিনস সি লেভেল) রেকর্ড করা হয়েছে। যা বিপৎসীমার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এর আগে, সোমবার সকাল ১০টায় পানির উচ্চতা রেকর্ড করা হয় ১০৮.৮৪ এমএসএল। কাপ্তাই হ্রদের পানি ধারণক্ষমতা ১০৯ এমএসএল।
এসএ/দীপ্ত সংবাদ