গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা এবং নোবেলজয়ী প্রথম বাংলাদেশী ড. মোহাম্মদ ইউনুসকে গ্রেফতা করে ফাঁসির দাবিতে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল এবং প্রতিবাদ সভা করেছে ছাত্রলীগ। এসময় ড. মোহাম্মদ ইউনুসের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।
বুধবার (৭ জুন) সকালে উপজেলার বসুরহাট সরকারি মুজিব কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে উপজেলা, পৌরসভা ও কলেজ ছাত্রলীগের ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি বসুরহাট বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক পরিদর্শন করে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় ড. মোহাম্মদ ইউনুসের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আইনুল মারুফের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আরমান আল ইসলাম তন্ময়ের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।
আবদুল কাদের মির্জা বলেন, সুদখোর ড. ইউনুস, উনার সম্পর্কে বাংলাদেশের মানুষ জানে। গ্রামীণ ব্যাংকের নামে আমার গ্রাম পর্যায়ের নিরিহ গরীব মানুষের শেষ সম্বলটুকু শেষ করে দিয়েছে। তার গ্রামীণ ব্যাংকের সুদ ছিলো ৪০%, শেষ করে দিয়েছে বাংলার নিরীহ মানুষকে। তাকে নোবেল পুষ্কার দিয়েছে, আমি বলবো এটা তাকে সুদের ওপর নোবেল দিয়েছিলো। আজকে তার বিচার শুরু হয়েছে। এতোদিন সে কোথায় ছিলো, এখন কোথা থেকে আবির্ভাব হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমেরিকার কূটচাল শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরানোর জন্য। আমেরিকা সেন্টমার্টিন দ্বীপে ঘাঁটি করতে চায়। ঘাঁটি কি জন্য? এই ঘাঁটি করে তারা এখান থেকে চীন সহ বিভিন্ন দেশের সাথে যুদ্ধ করবে। আর বাংলাদেশকে যুদ্ধ ক্ষেত্রে রূপান্তর করবে। শেখ হাসিনাকে এই প্রস্তুাব আমেরিকার পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে, কিন্তু নেত্রী ঘৃণা মনে তা প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছে। বলেছিলেন, শির যাবে, তারপরও সীমানা দেবো না। তাই আজকে আমেরিকা শেখ হাসিনাকে সরিয়ে তাদের পোষা কুকুর ডক্টর ইউনুসকে ক্ষমতায় বসাতে চাচ্ছে।
মির্জা বলেন, বিএনপির সাথে আমেরিকার চুক্তি হয়েছে। তারা সেন্টমার্টিন দিয়ে দেবে আর তাদের ক্ষমতায় এনে দেবে। মার্কিন সা¤্রাজ্যবাদ আজকে ভিসানীতি ঘোষনা করেছে,আমেরিকাতে যাদের বাড়ি গাড়ি আছে তাদের কাপড় চোপড় ঠিক নেই। কাপড় নষ্ট হয়ে গেছে। কিন্তু এখানে আমরা যারা আছি তাদের কোনো আকাঙ্খা নাই। আমাদের আমেরিকা যাওয়ার দরকার নেই। তারা নাইজেরিয়া, সোমালিয়া, উগান্ডাতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
তিনি বিএনপির সমালোচনা করে বলেন, বিএনপি হারিকেন নিয়ে মিছিল করেছে। এখানে দাঁড়িয়ে বলছি, ১৫ দিন পর আপনাদের হারিকেন আপনাদের গলায় লাগাবো। কি যেন ঘেরাও করবেন, করেন না ঘেরাও। ইনশাআল্লাহ ১৫ দিনের মধ্যে বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। জনগন আপনাদের তখন ঘেরাও করবে।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বসুরহাট পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল খায়ের, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আজম পাশা চৌধুরী রুমেল, সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম তানভীর।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পৌরসভা যুবলীগের সভাপতি সামছু উদ্দিন নোমান, সাধারণ সম্পাদক হামিদ উল্যাহ হামিদ, উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রনি, পৌরসভা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবদুল আউয়াল মানিক, সাধারণ সম্পাদক খান শিহাবুর রহমান শিহাব সহ উপজেলার আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ–সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এ.এস.এম.নাসিম/ আল/দীপ্ত সংবাদ