বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) রাতে রাজধানী গুলশানের ৮১ নম্বর রোডের একটি বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পল্টন থানায় দায়ের করা নাশকতার একটি মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিদের মধ্যে তার নামও ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আটকের পর আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ২৯ অক্টোবর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বনানীর বাসায় তল্লাশি চালায় ডিবি পুলিশ। তবে সেদিন তিনি বাসায় ছিলেন না তিনি।
সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর খোঁজে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মধ্যরাতে গুলশানের ৮১ নম্বর সড়কের একটি বাড়ি ঘিরে ফেলেন বলে এই বিএনপি নেতার এক স্বজন জানিয়েছিলেন।
এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় শুক্রবার এক বিবৃতিতে নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
বিবৃতিতে রিজভী বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন একতরফাভাবে অনুষ্ঠিত করে আবারও রাষ্ট্রক্ষমতা কুক্ষিগত করার পাঁয়তারা শুরু করেছে আওয়ামী সরকার। এই হীন উদ্দেশ্যকে চরিতার্থ করার লক্ষ্যে বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে কারান্তরীণ করার ঘৃণ্য খেলায় মেতে উঠেছে তারা। বিএনপিকে নেতৃত্বশূন্য করতেই ফ্যাসিস্ট শাসকগোষ্ঠী বিএনপির জাতীয় নেতৃবৃন্দকে ধারাবাহিকভাবে গ্রেপ্তার করে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, আদালতের মাধ্যমে বিএনপির গ্রেপ্তারকৃত জ্যেষ্ঠ নেতৃবৃন্দকে ৮–১০ দিন করে রিমান্ডে নিয়ে অকথ্য নির্যাতন করা হচ্ছে।
বিএনপির নেতৃত্বকেও দুর্বল করা যাবে না উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, কারাগারের বাইরে থাকা বিএনপির সর্বশেষ ব্যক্তিটি আন্দোলনের নেতৃত্ব দেবে। আন্দোলনের মাধ্যমেই সরকারের পদত্যাগসহ নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করতে জনগণ সংকল্পবদ্ধ। আর অচিরেই এ অবৈধ সরকারের পতন হবে।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়ার জোর দাবি জানান রিজভী।
মোরশেদ আলম/দীপ্ত নিউজ