আমিরাতে এগারোশর বেশি বাংলাদেশী নারী উদ্যোক্তা ও পেশাজীবী রয়েছে।
শুক্রবার (৮মার্চ) বাংলাদেশ ভবনে আয়োজিত আন্তর্জাতিক নারীদিবসে প্রথম বারের মতো সংযুক্ত আরব আমিরাতে এগারোশ‘র বেশি বাংলাদেশী নারী উদ্যোক্তা ও পেশাজীবী সনাক্ত হয়।
তবে এই সংখ্যার চেয়ে বেশি সংখ্যক বাংলাদেশী মহিলারা এখন আমিরাতে ব্যবসা করছেন। এবং বাংলাদেশের অন্যান্য ব্যবসায়ী নারীরা আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সহজ সংযোগের কারণে দেশটিতে তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণ করছেন।
একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মতে, একশটিরও বেশি বাংলাদেশি নারী উদ্যোক্তা এবং এক হাজার নারী পেশাদার বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাতের অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন। এর মধ্যেই ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার সহ রিয়েল এস্টেট, রেস্টুরেন্ট, গার্মেন্টস, ট্রেডিং, জুয়েলারি, মুদি, টাইপিং পরিষেবা ইত্যাদিতে সক্রিয়।
আমিরাতে তাদের দ্রুত অগ্রগতি বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নের সাফল্যের প্রতিফলন। বাংলাদেশ কনস্যুলেট লেডিস গ্রূপ (বিসিএলজি)এর চ্যারপারসন ও উইমেন ডিপ্লোম্যাটিক –এর সাধারণ সম্পাদক আবিদা হোসেন বলেন আমিরাতে এই প্রথম এতো বড়ো করে নারী দিবস পালনের মূল কারণ হচ্ছে। নারীদের ক্ষমতায়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নারীদের অগ্রযাত্রার ক্ষেত্রে যে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে।
বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন উল্লেখযোগ্যভাবে এগিয়েছে, নারীদের প্রত্যয় এবং নারীদের সমঅধিকার এবং নারীরা যে এগিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে দেশে এবং দেশের বাহিরে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে। তার একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকরাই হচ্ছে আজকের এই আয়োজন।
গত কয়েক বছরে দেশে নারী উদ্যো ক্তাদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে তা দেখে আনন্দ লাগছে।এই বৃদ্ধি বেশিরভাগই আমা দের মহিলাদের মধ্যে তাদের ঐতিহ্যগত পারিবারিক দায়িত্বের পাশাপাশি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত হয়ে আর্থিকভাবে স্বাধীন হওয়ার জন্য ক্রমবর্ধমান সচেতনতার সাথে সম্পর্কিত। নারী উদ্যোক্তাদের সমর্থনে সরকারের প্রচেষ্টা রয়েছে।
অনুষ্টানে প্যানেলিস্টদের অংশগ্রহণে সেমিনারের আয়োজন করা হয়। এবং তারা পরিবর্তনশীল বিশ্বে নারীর মর্যাদা উন্নয়নের জন্য চলমান চ্যালেঞ্জ ও সুযোগের কথা তুলে ধরেন।
অনুষ্টানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের মাননীয় হুইপ আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি,বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন। বিশিষ্ট কমিউনিটি নেতা আহামেদ আলী জাহাঙ্গীর,নারী নেত্রী রোমানা জাহাঙ্গীর সহ আরো অনেকে।
হৃদয় / আল / দীপ্ত সংবাদ