ছেলে আমার অনেক খোঁজ খবর নিতো, যত্ম নিতো। এখন কে আমার খোঁজ নেবে। আমাকে নিয়ে বিমানে উড়ার স্বপ্ন দেখতো আমার ছেলে। ছেলে বেঁচে থাকার অবলম্বন ছিলো, ও আমার স্বপ্ন ছিলো। আমার স্বপ্ন আর উড়বেনা। কেউ আমার ছেলেরে আইনা দেও।
একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বংস হওয়ার ঘটনায় নিহত পাইলট আসীম জাওয়াদ রিফাতের মা।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জ শহরের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ছেলেকে হারিয়ে কান্না করতে করতে বারবার জ্ঞান হরিয়ে ফেলছেন মা নিলুফার খানম। নিহতের স্বজনরা তাকে নানাভাবে বুঝানোর চেষ্টা করছেন।
রিফাত বেশ কয়েক মাস আগে স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে মানিকগঞ্জে এসেছিলেন। তখন বাবা–মাসহ স্বজনদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন। এরপর স্ত্রী–সন্তানদের নিয়ে কর্মস্থল চট্টগ্রামে চলে যান এই পাইলট।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা এলাকায় কর্ণফুলী নদীতে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বংস হয়ে মানিকগঞ্জের পাইলট আসীম জাওয়াদ রিফাত চট্টগ্রাম নৌবাহিনী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
অসিম জাওয়াদ বিমানবাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার ছিলেন। তিনি ২০১০ সালে বাংলাদেশ এয়ারফোর্স অ্যাকাডেমিতে (বাফা) যোগদান করেন। তিনি ২০১১ সালে বিমান বাহিনীতে অফিসার হিসেবে কমিশন লাভ করেন। প্রায় ৮ বছর আগে নারায়ণগঞ্জের বিয়ে করেন। স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে চট্টগ্রামে থাকতেন অসীম জাওয়াদ। আর তার বাবা–মা মানিকগঞ্জ জেলা শহরের গোল্ডেন টাওয়ারের ছয়তলায় একটি ফ্ল্যাটে থাকেন।