বিদ্যমান মূল্যস্ফীতি ও বাজার পরিস্থিতিতে ব্যাংক ‘আমানত’ ও ‘ঋণের’ সুদের হার নিয়ে নতুন করে ভাবার পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতি বিশ্লেষকেরা। সুদের হার না বাড়ালে আমানত কমার পাশাপাশি ঋণপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা তাদের। তবে এখনই সুদের হার ‘টু ডিজিট-এ’ নেয়ার নির্দেশনা দিচ্ছে না বাংলাদেশ ব্যাংক।
গত বছর অক্টোবরে কোনো পণ্য বা সেবা কিনতে যেখানে একশো টাকা লাগতো, চলতি অক্টোবরে তা কিনতে লেগেছে ১০৮ টাকা ৯১ পয়সা। অর্থাৎ গত অক্টোবরে দেশে মূল্যস্ফীতির হার ছিল শতকরা ৮ দশমিক নয় এক ভাগ। যদিও আগস্ট মাসে গত এক দশকের রেকর্ড ভেঙে মূল্যস্ফীতি পৌঁছায় ৯ দশমিক পাঁচ দুই শতাংশে।
মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বা ক্রয় ক্ষমতা কমে যাওয়ার সাথে আমানতের সুদের হার সামঞ্জস্য করার বিধান থাকলেও, তা কার্যকর হয়নি। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই ধারা বজায় থাকলে আমানতে আগ্রহ হারাতে পারে মানুষ। তখন ভাঙতে হবে সঞ্চয়পত্র। তবে, এখনই সুদের হার পরিবর্তনের নির্দেশ দিচ্ছে না, বাংলাদেশ ব্যাংক।
ব্যবসায়ীদের অব্যাহত চাপ ও সরকার প্রধানের নির্দেশনায় ২০২০ সালের ১ এপ্রিল থেকে ক্রেডিট কার্ড ছাড়া সব ঋণ ও বিনিয়োগের সর্বোচ্চ সুদের হার ৯ শতাংশ কার্যকর করার ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।