আমাজন বন রক্ষায় অভিন্ন নীতিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে ল্যাটিন আমেরিকার ৮টি দেশ। তবে আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদারে একীভূত পরিবেশগত নীতি–পরিকল্পনার তালিকা প্রণয়নের ব্যাপারে একমত হয়েছে তারা।
গবেষণা বলছে, পৃথিবীর যতটুকু অক্সিজেন আছে তার ২০ শতাংশ আসে আমাজন বন থেকে। আর প্রতিবছর ২০০ কোটি মেট্রিক টন কার্বন–ডাই অক্সাইড শোষণ করে এই বন। কিন্তু গত ৪০ বছরে পৃথিবীর ফুসফুস খ্যাত আমাজনের শতকরা প্রায় ২০ ভাগ ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। এ বন রক্ষায় উদ্যোগ না নিলে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।
এমন পরিস্থিতিতে আমাজনকে বাঁচাতে ৮ দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে এ মাসে দুই দিনের শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো ব্রাজিলে। এতে যোগ দেয় বলিভিয়া, কলম্বিয়া, ইকুয়েডর, গায়ানা, পেরু, সুরিনাম এবং ভেনেজুয়েলা। শীর্ষ সম্মেলনে দেশগুলো একীভূত পরিবেশনীতির একটি তালিকার বিষয়ে সম্মত হয়েছে। তবে বন উজাড় বন্ধে একটি সাধারণ লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি।
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা বলেন, ‘শীর্ষ সম্মেলনে গৃহীত যৌথ এজেন্ডা, আমাজন বন রক্ষায় উন্নয়নশীল দেশগুলির চাওয়া এজেন্ডার পরিপূরক। আমাজন রক্ষায় আগামী কপ টোয়েন্টি এইট সম্মেলনে ধনী দেশগুলোর কাছে সহায়তা চাওয়া হবে।‘
এদিকে আমাজনের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচার করার জন্য একটি আন্তর্জাতিক আমাজনীয় পরিবেশ আদালত তৈরি করা যেতে পাের। জঙ্গলের অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়ে সামরিক ও বিচারিক চুক্তি করার পক্ষে কলম্বিয়া।
সম্মেলনে আমাজন রক্ষায় অভিন্ন নীতি গ্রহণে ব্যর্থ হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছে দ্যা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফান্ড ফর ফিউচার।
আল/দীপ্ত সংবাদ