আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা ৩০০ আসন ধরে এগোচ্ছি। আমি ঢাকা থেকেই দাঁড়াবো। আর কে কোন আসনে দাঁড়াবে, আমরা সেই প্রার্থী তালিকা এ মাসেই দিতে পারি— বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
রবিবার (২ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানী বাংলামোটর এলাকায় এনসিপি অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সমসাময়িক রাজনৈতিক প্রসঙ্গে ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নাহিদ বলেন, এক দল সংস্কার ভেস্তে দিচ্ছে, আরেক দল নির্বাচন পিছিয়ে দিচ্ছে। আমরা এর কোনোটাই চাই না। আমরা চাই, যথাসময়ে নির্বাচন হবে এবং জুলাই সনদ আইনি ভিত্তি পাবে। তাই এ দুটি দলসহ সব দলের প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে, তারা যেন ঐক্যবদ্ধভাবে এক জায়গায় আসে। আমরা এই পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটাতে চাই।
তিনি বলেন, গণভোট নির্বাচনের দিনও হতে পারে, নির্বাচনের আগেও হতে পারে, তবে এটিই মূল বিষয় নয়। এটি আগে করলেও ভালো, কিন্তু সমস্যা থাকলে নির্বাচনের দিনও করা যেতে পারে। এ আদেশ জারি করা ও বাস্তবায়ন করাটা মূল বিষয়।
তিনি আরও বলেন, জুলাই সনদ তথাকথিত প্রেসিডেন্ট যিনি আছেন, অর্থাৎ, প্রেসিডেন্ট অফিস থেকে জারি হলে এই জুলাই সনদের আইনি ও রাজনৈতিক ভিত্তি তৈরি হবে না। বরং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে কফিনে শেষ পেরেক মারা হবে। তাই জুলাই সনদ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জারি করতে হবে।
এনসিপি এ নেতা জানান, সংস্কারের পক্ষে কেউ না থাকলে তাদের সঙ্গে আমাদের জোটে যাওয়া সম্ভব নয়। আমরা আমাদের মতো প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমাদের মৌলিক দাবি, যেমন– সংস্কার ও নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা, ফ্যাসিবাদ থেকে বাংলাদেশকে বের করে আনা, বৈদেশিক আধিপত্যবাদ থেকে বের করে আনা। এই দাবিগুলোর সঙ্গে কাছাকাছি কেউ থাকলে আমাদের যদি ঐক্যবদ্ধ হতে হয় বা সমঝোতায় যেতে হয়, সেটি তখন আমরা বিবেচনায় রাখব। দরজা আমাদের খোলা আছে। কিন্তু এখনও কোনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি।
নাহিদ বলেন, ভারত আ. লীগকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বাংলাদেশে সমর্থন দিয়েছে। ভারত যদি বাংলাদেশের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক চায়, তাহলে অবশ্যই ভারতকে আ. লীগের চোখে বাংলাদেশকে দেখার নীতি সেই জায়গা থেকে সরে আসতে হবে। বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করতে হবে।
উল্লেখ্য, সারা দেশে সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্যে এগোচ্ছে এনসিপি। দলটির ৫০টির বেশি জেলা কমিটি ও ৩২৩টি উপজেলা কমিটি রয়েছে।
এসএ