দেশ যখন আইসিইউতে ছিল, খাদের কিনারায় পৌঁছে গিয়েছিল— সেই কঠিন সময়ে আমরা দায়িত্ব নিয়েছি। আমরা ক্ষমতা নেইনি, দায়িত্ব নিয়েছি। বিশেষ করে আর্থিক ব্যবস্থাপনায়, বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
মঙ্গলবার (৩ জুন) দুপুরে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ২০২৫–২০২৬ অর্থবছরের বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করে দেশটাকে একটা স্থিতিশীল অবস্থানে নিয়ে আসতে পেরেছি। যে সংস্কারগুলো আমরা হাতে নিয়েছি সেটা চলমান। আমরা যতটুকু পারি করব। আমরা যে পদচিহ্ন রেখে যাবো (ফুটপ্রিন্ট) আশা করছি পরে যারা আসবে তারা সেটা বাস্তবায়ন করবে।
তিনি আরও বলেন, কথার ফুলঝুড়ি ছড়িয়ে কিন্তু আমরা বাজেট করিনি। আমাদের অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ ছিল যেমন, মূল্যস্ফীতি, ব্যাংকিং খাত, জ্বালানি খাত, রাজস্ব আদায় এসব কিছুর মধ্যেই বাজেট করতে হয়েছে। তারপরও আমাদের বাজেটের আকার বাড়েনি।
ড. সালেহউদ্দিন বলেন, আমরা তিন বছরের জন্য বাজেট দিয়েছি। এটা চলমান প্রক্রিয়া। অনেকে বলেছেন আমরা আগের পদাঙ্ক অনুসরণ করেছি। আসলে আমরা এসব অনুসরণ না করে চট করে বিপ্লবী একটা বাজেট দিয়ে দেব, দারুণ একটা রেভিনিউ আনবো সেটা সম্ভব নয়। আমরা কতগুলো ফ্রেমওয়ার্ক বা পদাঙ্ক অনুসরণ করে সামনে যাচ্ছি ঠিক। এবার যে ইনোভেশন নেই সেটা কিন্তু নয়। কিছু পদক্ষেপও আছে। বাজেট তিন বছর হওয়ায় বাজেট চলমান থাকায় ধারাবাহিকতা বজায় থাকে।
উপদেষ্টা বলেন, সংসদ না থাকায় আমরা সোমবার (২ জুন) জাতির সামনে বাজেট পেশ করেছি। অর্থ বিলে রাষ্ট্রপতি সই করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ফাইজুল কবির, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ, অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান, বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর আহসান এইচ মুনসুর।
এসএ