টঙ্গীর তুরাগ নদের (টঙ্গী নদী) তীরে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বাদ মাগরিব আম বয়ানের মধ্যদিয়ে শুরু হয়েছে ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব।
তাবলীগ জামাতের শুরায়ে নেজামের (যোবায়ের) অনুসারী তাবলীগের সাথীরা এবারের ইজতেমার প্রথম পর্ব আয়োজন করছেন।
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এবারের ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরায়ী নেজামের অধীনে দুই ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম পর্বের প্রথম ধাপ ৩১ জানুয়ারি শুরু হয়ে ২ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।
প্রথম পর্বের দ্বিতীয় ধাপ শুরু হবে ৩ ফেব্রুয়ারি। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে। এরপরে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়ে ১৬ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে।
দ্বিতীয় পর্ব আয়োজন করবেন তাবলীগ জামাতের শীর্ষ মুরুব্বী ভারতের মাওলানা সাদ অনুসারী সাথীরা।
ময়দানের ভিতরে চলছে বয়ান, জিকির, তালিম আর মাশোআরা। ময়দানের ভিতরে জেলা ভিত্তিক খিত্তা অনুযায়ী ইজতেমা ময়দানে সমবেত মুসুল্লিগণ কেউ নিজেদের প্রয়োজনীয় কাজ সারছেন। অনেকে নিজ নিজ দলের আমীরের দেওয়া দীনের বয়ান শুনছেন। নিজ দলের আমিরের মাধ্যমে ইজতেমার যাবতীয় ইমান, আদব, আখলাক ও শৃঙ্খলা নিয়ে কথা বলছেন।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক নাফিসো আরেফিন জানান, জেলা প্রশাসন বিশ্ব ইজতেমার সার্বিক কর্মকাণ্ড সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষে বিভিন্ন বিভাগের কাজের সমন্বয় করে থাকে। বিদেশি মেহমানদের আবাসস্থল নির্মাণের নিমিত্তে টিন সরবরাহ, বিভিন্ন দফতরের কন্ট্রোল রুমের স্থান নির্ধারণ ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকার পাশাপাশি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ঢাকা বিভাগীয় প্রশাসনের দিক নির্দেশনায় বিভিন্ন কার্যাদি তদারকি করা হচ্ছে।
সর্বোপরি বিশ্ব ইজতেমার সকল দিক জেলা প্রশাসন পর্যবেক্ষণ করছে, যখন যেখানে যা প্রয়োজন সেগুলোর ব্যবস্থা করছে।